বাংলাদেশের বরাদ্দ বাড়াতে আইসিসিকে ভনের পরামর্শ

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলগুলোর আরও বেশি টাকা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। তার মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বার্থে সব দলেরই লভ্যাংশ প্রাপ্তি কাছাকাছি থাকা দরকার। ‘স্টিক টু ক্রিকেট’ নামের একটি পডকাস্টে এসব কথা বলেছেন তিনি। ভনের কথায় সম্মতি জানান বৈঠকে উপস্থিত সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ব্রায়ান লারাও। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আইসিসি বোর্ড সভায় ২০২৪-২৭ চক্রের লভ্যাংশ ভাগাভাগির যে মডেল অনুমোদন করা হয়, তাতে সবচেয়ে বেশি ৩৮.৫০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের নামে।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) আয় করেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি। এর বড় একটা অংশ এসেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে। তবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকেও বড় অঙ্কের অর্থ পেয়েছে তারা। আইসিসি থেকে এক বছরে ১ হাজার ৪২ কোটি রুপি পেয়েছে বিসিসিআই। যা তাদের মোট আয়ের ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আইসিসির এ নীতি প্রসঙ্গে ভন বলেন, ‘যে জিনিসটা আমার বাজে লাগে, সেটা হচ্ছে ক্রিকেটের টাকাপয়সা সঠিকভাবে ভাগ হয় না।

আইসিসির অনেক টাকা আছে। আমরা যদি ক্রিকেটে দুই স্তরও চালু করি, সবচেয়ে ন্যায্য হচ্ছে ভাগাভাগিটা ঠিক করা। আমি বলছি না যে সবাই একদম সমানে সমান টাকা পাক।’ ভন বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলোর ভাগের টাকা আরও বেশি পাওয়া উচিত, যাতে তারা খেলোয়াড়দের আরও বেশি টাকা দিতে পারে। একটা ভালো অঙ্কের অর্থ পেলে এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের হয়ে আরও বেশি দিন খেলবেন।’

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) আয় করেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি। এর বড় একটা অংশ এসেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে। তবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকেও বড় অঙ্কের অর্থ পেয়েছে তারা। আইসিসি থেকে এক বছরে ১ হাজার ৪২ কোটি রুপি পেয়েছে বিসিসিআই। যা তাদের মোট আয়ের ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আইসিসি থেকে এর চেয়ে বেশি অর্থ পায় না আর কোনো দল। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলগুলোর ভারতের তুলনায় অনেক কম অর্থ পায়। তাই ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন মনে করেন এসব দেশগুলোকে আরও বেশি অর্থ দেওয়া উচিত।

আইসিসির এ নীতি প্রসঙ্গে ভন বলেন, ‘যে জিনিসটা আমার বাজে লাগে, সেটা হচ্ছে ক্রিকেটের টাকাপয়সা সঠিকভাবে ভাগ হয় না। আইসিসির অনেক টাকা আছে। আমরা যদি ক্রিকেটে দুই স্তরও চালু করি, সবচেয়ে ন্যায্য হচ্ছে ভাগাভাগিটা ঠিক করা। আমি বলছি না যে সবাই একদম সমানে সমান টাকা পাক।’ ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আইসিসি বোর্ড সভায় ২০২৪-২৭ চক্রের লভ্যাংশ ভাগাভাগির যে মডেল অনুমোদন করা হয়, সেখানে সবচেয়ে বেশি ৩৮.৫০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ভারতের জন্য। এ ছাড়া ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ৬.৮৯ শতাংশ, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ৬.২৫ শতাংশ এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ৫.৭৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ পাচ্ছে। বাকি দেশগুলোর সবাই ৫ শতাংশেরও কম লভ্যাংশ পাচ্ছে। ভন বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলোর ভাগের টাকা আরও বেশি পাওয়া উচিত, যাতে তারা খেলোয়াড়দের আরও বেশি টাকা দিতে পারে। একটা ভালো অঙ্কের অর্থ পেলে এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের হয়ে আরও বেশি দিন খেলবেন।’

বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড কত পায়

আইসিসি কোন দেশকে কত টাকা বা কত শতাংশ লভ্যাংশ দেয়, সেটি কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে ২০২৩ সালে ক্রিকেটপোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদন অনুসারে অনুমোদিত লভ্যাংশ মডেল বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়। ক্রিকইনফোর তথ্য অনুসারে, ২০২৪-২৭ চক্রে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পাচ্ছে আইসিসির লভ্যাংশের ৪.৪৬ শতাংশ। ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রাক্কলিত আয় হিসাবে বাংলাদেশ বছরে ২ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের বেশি পাওয়ার কথা।

অন্যদের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৪.৫২ শতাংশ বা ২.৭১ কোটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪.৫৮ বা ২.৭৫ কোটি, নিউজিল্যান্ড ৪.৭৩ শতাংশ বা ২.৮৩ কোটি এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ৪.৩৭ শতাংশ বা ২.৬৪ কোটি মার্কিন ডলার পাবে বলে প্রস্তাব করা হয়েছিল, যা চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় এই পাঁচ দেশের জন্য প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলার করে বাড়ানো হয়েছিল বলে জানিয়েছিল ক্রিকইনফো।