এশিয়ান কাপ সামনে রেখে উদ্যোগ

মেয়েদের কোচিং স্টাফে আরও তিন বিদেশি

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রবাসী হামজা চৌধুরী, সামিত সোম এবং ফাহমিদুল ইসলামদের আগমনে নতুন করে জেগেছে দেশের ফুটবল। তবে নিজেদের শক্তিতে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। প্রথমবার এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। যা লাল সবুজের পুরুষ ফুটবল দল এখনও অর্জন করতে পারেনি। যে কারণে, এ মূহূর্তে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নজর এখন নারী ফুটবল নিয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর নারী ফুটবল দলের কোচিং স্টাফ আরো শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়েছে বাফুফে। ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারের নেতৃত্বে এই কোচিং স্টাফে আরও তিনজন বিদেশি যোগ হবেন আফঈদা-ঋতুপর্ণাদের অনুশীলনের জন্য।

বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন, ‘আমি তিনটি জায়গা নিয়ে এরই মধ্যে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের একজন গোলরক্ষক কোচ, একজন নারী সহকারী কোচ ও ফিজিক্যাল ফিটনেসের জন্য ট্রেনার দরকার। এই তিনজনই হবেন বিদেশি। সভাপতিকে জানানোর পর তিনি আমাকে দেখতে বলেছেন কোথা থেকে কাদের নিয়োগ দেওয়া যায়। আমি দেখছি নতুন তিন বিদেশি ঠিক করার বিষয়টি।’ তাহলে কি বর্তমান কোচিং স্টাফের কেউ বাদ পড়বেন? কিরণের জবাব, ‘এখন যারা আছেন, তাদের কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না। কোচিং স্টাফে নতুন করে বিদেশি যোগ হবেন। এদের রেখেই নতুন তিনজন নিয়োগ দেওয়ার জন্য একমাস আগেই সভাপতিকে প্রস্তাব দিয়েছি। তখন সভাপতি আমাকেই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন। এরইমধ্যে আমি একজন ট্রেনারের বায়োডাটা সভাপতির কাছে পাঠিয়েছি। তিনি সেটা দেখছেন।’

আগামী ১ মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য নারী এশিয়ান কাপের জন্য বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ প্রস্তুতির পরিকল্পনা করছে বাফুফে। দেশের বাইরে ক্যাম্প করে এবং সেখানে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার জন্য বাফুফে কয়েকটি দেশের সাথে যোগাযোগও করেছে। কিরণ বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তাব দিয়েছি সেখানে মাসখানেক ক্যাম্প ও ম্যাচ খেলা যায় কি না। তবে কোরিয়া আমাদেরকে জানিয়েছে এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য তাদের টিম পাঠাবে ইউরোপে। যে কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের খেলা হচ্ছে না। এখন আমি জাপান ও স্পেনের সাথে কথা বলবো। জাপানের সঙ্গে অল্প কথা হয়েছে। তারা কিছু জানায়নি।’

সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে পুরোদমে শুরু হবে জাতীয় নারী ফুটবল দলের অনুশীলন। টানা ৬ মাস দলের নিরবিচ্ছিন্ন অনুশীলনের জন্য যা যা করার তাই করবে বাফুফে। কোচ পিটার বাটলার সৌদি আরবে ক্যাম্প করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিরণ যোগ করেন, ‘অনেক দেশকে মাথায় রেখেই আমাদের পরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, আমরা চাইলেই তো হবে না। যাদেরকে প্রস্তাব দেবো, সেই দেশের শিডিউলের সঙ্গে তো মিলতে হবে। এটা বলতে পারি আগামী ৬ মাসে আমরা অন্তত ৬টি ম্যাচ খেলার ইচ্ছা আমাদের আছে। আমরা বসে নেই। সেভাবেই কাজ চলছে। আর অস্ট্রেলিয়রার কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য কয়েকদিন আগেই দল পাঠানো হবে।’

এশিয়ান কাপের গ্রুপিং নিয়ে কিরণ খুবই খুশি। কারণ, তিনি মনে করেন এই পর্যায়ে যে দলের সাথেই পড়তো বাংলাদেশ, গ্রুপ কঠিনই হতো। গ্রুপিং নিয়ে কিরণ বলেন, ‘গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল চীন আমাদের সঙ্গে পড়েছে। আমরা চাইলেই চীন, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের সাথে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো না। আমরা আগেই বলেছি, দক্ষিণ এশিয়া ও এশিয়ান বাছাই লেভেলে আমরা ভালো করেছি। এখন এশিয়ার সর্বোচ্চ লেভেলে খেলে নিজেদেরকে আরও অভিজ্ঞ করে তুলতে পারবো। আমরা উজবেকিস্তানের বিপক্ষে জেতার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার তা নিয়েই অস্ট্রেলিয়া যাবো।’