আন্তর্জাতিক সম্ভাবনাময় টিটি সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাত্র এক বছর আগেই এই দলটি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত বাদে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। রামহিম ও তার সতীর্থদের নেতৃত্বে কমনওয়েলথ গেমস ও ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে কোয়ার্টার ফাইনাল, দক্ষিণ এশীয় টেবিল টেনিস যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদক জেতে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের টেবিল টেনিস ছিল আশার আলো দেখছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
এক বছরের ব্যবধানে চিত্র পাল্টে এখণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের দক্ষিণ এশিয়ান কোয়ালিফায়ারে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম পুরুষ দল মালদ্বীপের কাছেও হারার সঙ্গে সঙ্গে, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কাছেও হেরে পাঁচ দলের মধ্যে সবার নীচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে বাংলাদেশ। গত বছর যারা সাফল্য এনে দিয়েছিল, তারাই এই টুর্নামেন্টে কিভাবে এতটা বাজে খেলল?
জানা গেছে, মাঠের খেলার পাশাপাশি দল নির্বাচনে অদূরদর্শী ও অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ এমন ভরাডুবির অন্যতম প্রধান কারণ। সূত্র আরও জানায়, দেশের এক নম্বর খেলোয়াড় রামহিমকে নামানো হয়েছিল তিন নম্বরে। যেখানে তিনি মাত্র একটি সেট খেলার সুযোগ পান এবং জেতেন। বিপরীতে চার নম্বরে থাকা এক খেলোয়াড়কে খেলানো হয় দুই নম্বরে। যিনি দুটি সেটই হেরে দলকে পিছিয়ে দেন। আর এই কারণে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মালদ্বীপের কাছে হারে বাংলাদেশ।
এছাড়া বাংলাদেশের মেয়ে দলটিও নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভারত সবার কাছেই হেরেছে। টেবিল টেনিসের ইতিহাসে এত বড় দুর্যোগ আর কখনওই আসেনি। টিটির সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই ভরাডুবির মূল কারণ, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব, খেলোয়াড়দের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের দূরত্ব।
