‘দেহরক্ষীর’ অভিষেক রাঙালেন মেসি
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া ডেস্ক

এমএলএস অল-স্টার ম্যাচে না খেলার কারণে শাস্তি হিসেবে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ইন্টার মায়ামি তারকা লিওনেল মেসি। সে নিষেধাজ্ঞার জেরে আগের ম্যাচে সিনসিনাটির বিপক্ষে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন এ আর্জেন্টাইন মহাতারকা। মেসিবিহীন সে ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছিল মায়ামি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচেই আলো ছড়ালেন মেসি। জোড়া অ্যাসিস্ট করে মেক্সিকান ক্লাব আটলাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে লিগস কাপ শুরু করল ইন্টার মায়ামি।
এদিকে গত সপ্তাহে মায়ামির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পল। যিনি মাঠে ও মাঠের বাইরে মেসির ঢাল হয়ে থাকায় অনেকেই তাকে মেসির ‘দেহরক্ষী’ বলে ডাকেন। এই ম্যাচে হয়েছে তার অভিষেকও। অভিষেকটা জয়ে রাঙালেন পল। মায়ামির হয়ে একটি করে গোল করেন তেলাসকো সেগোভিয়া ও মার্সেলো ভাইগান্ট। মেসি গোল না পেলেও দলের দুটি গোলই আসে তার সহায়তায়। বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মায়ামির মাঠে ম্যাচের তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। জমজমাট ম্যাচটিতে ম্যাচের ৫৫ শতাংশ সময় বল ধরে রেখে গোলে ১৯টি শট নেয় মায়ামি। এরমধ্যে ৫টি ছিল লক্ষ্যে। আটলাস গোলে ১৫টি শট নিলেও লক্ষ্যে রাখে ৭টি। এই ম্যাচ দিয়ে মায়ামির জার্সিতে অভিষেক হয় রদ্রিগো দি পলের। পুরো সময় খেলে নিজেকে যথেষ্ট মেলে ধরেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।
সপ্তম মিনিটে তাদেও আইয়েন্দের পাসে বক্সের ভেতর ভাইগান্টের পায়ে লেগে বল যায় তেলাস্কো সেগোভিয়ার কাছে। ভেনেজুয়েলার মিডফিল্ডারের শট আটলাসের একজনের পায়ে লেগে উড়ে যায় বারের ওপর দিয়ে। মেসি তখন মাঠের মাঝে শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। একটু শুশ্রুষার পর উঠে আবার ছুটতে শুরু করেন তিনি। ২২তম মিনিটে অন্য প্রান্ত থেকে উড়ে আসা বল পেয়ে ডানপ্রান্ত দিয়ে এগিয়ে যান মেসি। দারুণ এক থ্রু বল বাড়ান তিনি আইয়েন্দেকে। আর্জেন্টাইন উইঙ্গার বক্সে ঢুকে গড়ানো কোনাকুনি শট নেন। তবে পা বাড়িয়ে আটলাসকে রক্ষা করেন গোলকিপার কামিলো ভার্গাস। ২৫তম মিনিটে গোলের খুব কাছাকাছি যায় আটলাস। আলফোন্সো গন্সালেসের দারুণ ক্রসে বক্সের ভেতর ফাঁকায় থেকে হেড করেন এদুয়ার্দো আগিরে।
ডাইভ দিয়ে আলতো করে আঙুল ঠেকিয়ে কোনোরকমে বাইরে পাঠিয়ে দেন মায়ামির গোলকিপার রোকো রিওস নোভো। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগটি পান লুইস সুয়ারেস। তার সামনে গোলকিপার ছিল একা। কিন্তু অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডের গতিময় শট ফিরে আসে গোলবারে লেগে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মেসির হেড বেশ বাইরে দিয়ে চলে যায়। মিনিট দুয়েক পর বক্সের ভেতর থেকে সুয়ারেসের আরেকটি গতিময় শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকান আটলাস গোলকিপার ভার্গাস। ৫৮তম মিনিটে অবশেষে মায়ামির সেই কাঙ্ক্ষিত গোল। অ্যাসিস্ট অফিসিয়ালি মেসির হলেও গোলটিতে বড় অবদান সের্হিও বুসকেতসের। বক্সের ভেতর সেগোভিয়ার শট আটলাসের একজনের পায়ে লেগে চলে যায় বক্সের ঠিক বাইরে থাকা বুসকেতসের পায়ে। তিনি দারুণ এক ডিফেন্স চেরা পাসে খুঁজে নেন গোলের একদম সামনে ফাঁকায় থাকা মেসিকে। আটলাসের গোলকিপার ততক্ষণে ছুটে আসছেন। মেসি আলতো করে বল বাড়ান আইয়েন্দেকে। সঙ্গে থাকা ডিফেন্ডারকে ছিটকে তিনি কাছ থেকে বল পাঠান জালে। মিনিট দুয়েক পরই আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন সুয়ারেস। আটলাস সমতায় ফেরে ৮০তম মিনিটে। জটলার মধ্য থেকে গোল করেন রিভালদো লোসানো। তিন মিনিট পর বক্সের ভেতর থেকে সুয়ারেসের আরেকটি শট দারুণ রিফ্লেক্স দেখিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন ভার্গাস। এরপর শেষ সময়ের সেই নাটক ও মেসিদের দারুণ জয়ের উল্লাস।
