জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের যুবারা

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

টানা জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে রীতিমত উড়ছিল বাংলাদেশের যুবারা। তবে গত বৃহস্পতিবার লাল সবুজের যুবাদের মাটিতে নামিয়ে আনে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া যুবাদের বিপক্ষে লড়াই করেও জিততে পারেনি টাইগার জুনিয়রা। একদিন পর ফের জ্বলে উঠল আজিজুল হাকিম তামিমের দল। জিম্বাবুয়েকে ধরাশয়ী করেছে তারা। গতকাল শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে স্বাগতিকদের ৮৯ রানে অলআউট করে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। টাইগার যুবাদের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকারও। চার ম্যাচে দুই দলের পয়েন্ট ছয়। রান রেটে আপাতত শীর্ষে বাংলাদেশ। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে জিততে পারেনি একটিও। ফাইনালের দুই দল চূড়ান্ত হলেও টুর্নামেন্টের প্রাথমিক পর্বে আরও এক রাউন্ডে দুটি করে ম্যাচ বাকি আছে সব দলেরই। আগের দিন পরাজয়ের ধাক্কা সামলে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ জয়ের পথ তৈরি করে ফেলে ম্যাচের প্রথম ভাগেই। এদিন ইকবাল হোসেন ইমনের তোপে ২২.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় স্রেফ ৮৯ রানে। মূল স্ট্রাইক বোলারদের একজন আল ফাহাদ এ দিন বিশ্রামে থাকলেও আরেকজন ইকবাল হোসেন ইমন চার উইকেট নিয়ে ভিত গড়ে দেন দলের জয়ের। ভালো বোলিং করেন অন্যরাও। রান তাড়ায় বাংলাদেশ জিতে যায় স্রেফ ১৫.১ ওভারেই।

টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট এনে দেন ইমন। আরেক ওপেনার ন্যাথানিয়ের লাবাঙ্গানা চেষ্টা করেন পাল্টা আক্রমণে জবাব দেওয়া। কিন্তু তাকে বেশিদূর যেতে দেননি টুর্নামেন্টে প্রথম খেলতে নামা পেসার সানজিদ মজুমদার। ১৮ বলে ২৬ রান করে তিনি ধরা পড়েন কাভারে। সেটিই হয়ে থাকে দলের সর্বোচ্চ। আর কোনো ব্যাটসম্যান ২০ ছাড়াতে পারেননি। প্রথম স্পেলেই আরও দুটি উইকেট শিকার করেন ইমন। এরমধ্যে আছে সাবেক অলরাউন্ডার অ্যান্ডি ব্লিগনটের ছেলে কিয়ান ব্লিগনটের উইকেটও। কিয়ানের জমজ ভাই মাইকেল ব্লিগনটকে শূন্যতে ফেরান সানজিদ।

উইকেট পতনের মিছিলের মধ্যে পাঁচে নেমে একটা প্রান্ত কিছুটা আগলে রেখেছিলেন ব্র্যান্ডন এনডিওয়েনি (২০)। তাকে ফেরানোসহ এক ওভারে দুটি উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার স্বাধীন ইসলাম। শেষ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে চার উইকেট পূর্ণ করেন ইমন।

রান তাড়ায় এ দিন ওপেনিংয়ে দেখা যায়নি জাওয়াদ আবরারকে। রিফাত বেগের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন আজিজুল হাকিম। রিফাত বিদায় নেন প্রথম ওভারেই। আসরের চার ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন এই ওপেনার। তিনে নেমে কালাম সিদ্দিকি চারটি চারে ১৬ বলে ২০ করে আউট হয়ে যান। তৃতীয় উইকেটে আজিজুল ও রিজান ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে কাজ শেষ করে ফেরেন। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন আজিজুল, ২৬ বলে ২১ রানে অপরাজিত রিজান।

ত্রিদেশীয় সিরিজে এটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়। এখন পর্যন্ত মোট চারটি ম্যাচ খেলেছেন আজিজুলরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটির মধ্যে একটিতে জয়, অপরটিতে হার। সব মিলিয়ে চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ৪ ম্যাচের তিনটিতে জিতে ৬ পয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকারও। জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দল হেরেছে চার ম্যাচের সব কটিতেই। আগামী ১০ আগস্ট ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে আরও দুটি করে ম্যাচ বাকি আছে সব দলের। বাংলাদেশ ৬ আগস্ট খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ৮ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।