হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া ডেস্ক
প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) মরক্কান তারকা আশরাফ হাকিমির বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার চেয়েছে ফরাসি প্রসিকিউশন। যদিও এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন হাকিমি। ফ্রান্সের নান্তের প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানানো হয়েছে, তদন্তকারী বিচারকের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে যেন এই অভিযোগটি ক্রিমিনাল কোর্টে পাঠানো হয়। প্রসিকিউশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বিচারকের। তিনি তার তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’
২৬ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডার পিএসজির ইতিহাসে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের অভিযানে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। ২০২৩ সালের মে মাসে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করার ম্যাচে গোলের সূচনা করেন হাকিমিই। এরআগে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর ঐতিহাসিক সেমিফাইনাল যাত্রাতেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের মার্চে হাকিমির বিরুদ্ধে একটি ২৪ বছর বয়সি নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ, ২৫ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের শহরতলী বুলোন-বিয়ানকোর্টে নিজের বাসায় হাকিমি ওই নারীকে ডেকে নেন, তখন তার স্ত্রী-সন্তান ছুটিতে বাইরে ছিলেন। নারীটি পরে পুলিশের কাছে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ জানান এবং জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নেন। যদিও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করেননি, তারপরও প্রসিকিউশন হাকিমির বিরুদ্ধে মামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইনস্টাগ্রামে হাকিমির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। নির্দিষ্ট রাতের ঘটনাটি নিয়ে তিনি বলেন, হাকিমি তার জন্য ট্যাক্সি পাঠিয়ে দেন এবং তার বাসায় আমন্ত্রণ জানান। সেখানে গিয়ে হাকিমির আচরণ তাকে অস্বস্তিতে ফেলে। তিনি অভিযোগ করেন, হাকিমি তাকে জোরপূর্বক চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন ও যৌন হেনস্তা করেন, পরে তাকে ধর্ষণ করেন। তবে ওই নারী দাবি করেন, একপর্যায়ে তিনি পালিয়ে গিয়ে এক বন্ধুকে ফোন করেন, যে এসে তাকে বাসা থেকে নিয়ে যায়। ঘটনার সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে হাকিমির আইনজীবী ফানি কলিন এএফপিকে বলেন, ‘প্রসিকিউশনের বিচার দাবিকে একেবারেই ‘অযৌক্তিক ও অর্থহীন’ বলে মনে করছি। মামলার তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে এর কোনো সামঞ্জস্য নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এবং হাকিমি শুরু থেকেই শান্ত আছি। যদি এই বিচার আদেশ গৃহীত হয়, তাহলে আমরা আইনি লড়াইয়ের সব পথ খোলা রাখব।’ অন্যদিকে, অভিযোগকারিণীর আইনজীবী র্যাচেল-ফ্লোর পার্দো বলেন, ‘আমার মক্কেল এই খবর শুনে স্বস্তি পেয়েছেন।’
