নিউজিল্যান্ডের ইতিহাস জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া ডেস্ক
টেস্ট অভিষেকেই বাজিমাত করলেন নিউজিল্যান্ডের তরুণ পেসার জ্যাকারি ফোকস। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া এই ডানহাতি পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ফাইফারের দেখা। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে সাদা পোশাকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে কিউইরা। জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ৩৫৯ রানে হারিয়ে দলটি তুলে নিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের সর্ববৃহৎ জয়। সব মিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে এটি তৃতীয় বড় জয়। বুলাওয়ায়োতে দ্বিতীয় টেস্ট আড়াই দিনেরও কম সময়ে ইনিংস ও ৩৫৯ রানে জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে নিউজিল্যান্ড। ইনিংস ব্যবধানে কিউদের সবচেয়ে বড় জয় এটিই। তাদের আগের বড় জয়টিও ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০১২ সালে নেপিয়ারে ইনিংস ও ৩০১ রানে। সেটি ছাড়িয়ে জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ডও লেখা হলো নতুন করে। প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে বড় জয় আছে আর কেবল দুটি। ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে ইনিংস ও ৩৬০ রানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া, ১৯৩৮ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস ও ৫৭৯ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টিসহ ম্যাচে ৭৫ রানে ৯ উইকেট নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অভিষিক্ত পেসার জ্যাকারি ফোকস। টেস্ট অভিষেকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টে উইল ও’রোকের ৯৩ রানে ৯ উইকেট ছিল আগের সেরা। নিউজিল্যান্ডের ৯৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এই দুজন ছাড়া অভিষেকে ৯ উইকেট নেই আর কারো।
ডেভন কনওয়ে, হেনরি নিকোলস ও রাচিন রাভিন্দ্রার দেড়শ ছোঁয়া ইনিংসে ৩ উইকেটে ৬০১ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। গতকাল শনিবার তৃতীয় দিন আর ব্যাটিংয়ে নামেনি সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এক সেশনেই ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম দিন তারা অলআউট হয়েছিল ১২৫ রানে। ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল না উইকেট। জিম্বাবুয়ের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান আউট হন আলগা শট খেলে। তিন নম্বরে নেমে ৭১ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত রয়ে যান নিক ওয়েলচ। বাকি ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত রান ৫৪! অতিরিক্ত থেকে আসে ১৬ রান। ওয়েলচ ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল অধিনায়ক ক্রেইগ আরভাইন (১৭)।
প্রথম ওভারেই চমৎকার ডেলিভারিতে ব্রায়ান বেনেটকে বোল্ড করে দেন ম্যাট হেনরি।
