সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

ভুটানে শিরোপা স্বপ্ন চুরমার বাংলাদেশের

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

জাতীয় দল কিম্বা বয়সভিত্তিক, একের পর এক সাফল্য অর্জন করছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শুরু করে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ সব সংস্করণেই সেরার মুকুট পড়ছিলেন লাল সবুজের মেয়েরা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের পথে এগোচ্ছিলেন আলপি আক্তার সুরভী-আকন্দ প্রীতিরা। ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এবারের প্রতিযোগিতায় যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেই ভুটানের সঙ্গে রাউন্ড রবিন লিগে দ্বিতীয়বারের দেখায় অপ্রত্যাশিত, অকল্পনীয় ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এই ড্রয়েই শিরোপা স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল লাল সবুজের মেয়েদের। পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ রাউন্ড রবিন লিগের ফিরতি ম্যাচে রোববার ভারতের মুখোমুখি হবে। এখন রানার্সআপ ট্রফিই স্বান্তনা বাংলাদেশের।

গতকাল শুক্রবার থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশ গোল পেয়ে যায়। ছয় মিনিটে গোলকিপার কেলজান ওয়াংমোর ভুলে গোল হজম করে বসে ভুটান। ব্যাক পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে কেলজান ওয়াংমোর নেওয়া শটে বল গিয়ে পড়ে পুর্ণিমা মারমার পায়ে।

একটু এগিয়ে নিখুঁত শটে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি (১-০)। একটু পর সুরভী আকন্দ প্রীতির শট ঝাঁপিয়ে আটকান ওয়াঙ্গমো। ১৬ মিনিটে পুর্ণিমার আড়াআড়ি ক্রসে সুরভী আকন্দের প্লেসিং শট ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরে। একটু পর এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট কাঁপায় বাইরের জাল।

২৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত। ডান দিক থেকে মামনি চাকমার আড়াআড়ি ক্রসে দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা পুর্ণিমা পা বাড়ালেও পাননি বলের নাগাল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফিরে ভুটান। সতীর্থের লং পাস ধরে এক ছুটে বক্সে ঢুকে গোলকিপার মেঘলা রানীর পাশ দিয়ে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন চোরতেন জাংমো (১-১)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মামনি চাকমা। কিন্তু দ্রুত পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে তার শট আটকে দেন ভুটান গোলকিপার। এরপর চেষ্টা করেও জয়সূচক গোল পায়নি বাংলাদেশ।

ভুটান ৫ ম্যাচে প্রথম পয়েন্ট পেল বাংলাদেশের সঙ্গে এই ড্রয়ে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নারী ফুটবলে দাপট দেখিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ঢাকায় সাফ অ-২০ নারী চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সিনিয়র দলের পাশপাশি অ-২০ নারী দলও এশিয়া কাপ নিশ্চিত করেছে। মাস দু’য়েকের মধ্যে নারী দলের এই সাফল্যের মধ্যে সাফ অ-১৭ দল নিয়েও ছিল চ্যাম্পিয়নের প্রত্যাশা। পাঁচ ম্যাচে এরইমধ্যে ৫ পয়েন্ট হাতছাড়া হওয়ায় শিরোপা স্বপ্ন এখন শেষের পথে। প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। শুরুটাও হয় আশা জাগানিয়া। ষষ্ঠ মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে গোল হজম করে বসে ভুটান। ব্যাক পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে কেলজান ওয়াঙ্গমোর নেওয়া শটে বল গিয়ে পড়ে পুর্ণিমা মারমার পায়ে। একটু এগিয়ে নিখুঁত শটে গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। একটু পর সুরভী আকন্দ প্রীতির শট ঝাঁপিয়ে আটকান ওয়াঙ্গমো। ষোড়শ মিনিটে পুর্ণিমার আড়াআড়ি ক্রসে প্রীতির প্লেসিং শট ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরে। একটু পর এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট কাঁপায় বাইরের জাল।

২৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত। ডান দিক থেকে মামনি চাকমার আড়াআড়ি ক্রসে দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা পুর্ণিমা পা বাড়ালেও পাননি বলের নাগাল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফিরে ভুটান। সতীর্থের লং পাস ধরে এক ছুটে বক্সে ঢুকে, গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন চোরতেন জাংমো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মামনি চাকমা। কিন্তু দ্রুত পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে তার শট আটকে দেন ভুটান গোলকিপার। ৮১তম মিনিটে পুর্ণিমাকে তুলে ফাতেমা আক্তারকে নামান কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু। কিন্তু কেউই পারেননি প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে।