‘অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও সমালোচনা হবে’
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

দরজায় কড়া নাড়ছে এশিয়ার ‘বিশ্বকাপ’ খ্যাত এশিয়া কাপ। এশিয়া সেরা হওয়ার লড়াইয়ের আগে নিজেদের শক্তির পরীক্ষা নিতে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সেই সিরিজের প্রথম টি-টেয়েন্টি মাঠে গড়াচ্ছে আজ। তার আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন স্বাগতিক দলের কোচ ফিল সিমন্স। সবশেষ সিরিজে করা নিজেদের মান ধরে রাখতে চান বাংলাদেশ কোচ।
তার কাছে এখানে মানদ- গত মানে শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পারফরম্যান্স। সেই মান ধরে রেখেই সামনে ছুটতে চান কোচ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজে যদি তেমন কিছু মেলে ধরতে না পারে দল, তাহলে সমালোচনাকে আলিঙ্গন করতে আপত্তি নেই কোচের।
সিলেটে এমন একটি সিরিজ এটি, যেখানে ৩-০ ব্যবধানের জয়ই প্রত্যাশিত। একটি ম্যাচ হেরে গেলেও তা হবে ব্যর্থতা। সেক্ষেত্রে ধেয়ে আসবে সমালোচনার ঝড়। সেই ঝড়কে আমন্ত্রণ জানিয়েই রাখলেন সিমন্স। তবে সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কোচ বললেন, নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে জিতবে তার দলই। ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলেও আমাদের সমালোচনা হয়। তাই নিচের দিকে কোনো দলের কাছে হারলে সমালোচনা হওয়াটা খুব খারাপ কিছু নয়। কারণ, যে দিনটিতে আমরা ভালো খেলছি না, সেদিন সমালোচনাই প্রাপ্য। আমরা ভালো খেলার পরও যদি তারা জেতে, তাহলে সেটা তাদের প্রাপ্য। কোনো দলের কাছে হার নিয়ে আমরা ভাবি না। আমাদের ভাবনায় থাকে আমরা কীভাবে খেলছি, মান কেমন। আমি নিশ্চিত, ওই মানের খেলা খেলতে পারলে আমরা জিতব।’
বাংলাদেশ এখানে ফেভারিট হলেও জয়টা নিশ্চিত ধরে রাখার জো নেই। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে হারিয়েছিল তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের সগৌরব উপস্থিতি থাকে নিয়মিতই। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এই সংস্করণে ডাচরা যে বিপজ্জনক দল, তা মাথায় রাখছেন বাংলাদেশ কোচ। ‘আমরা তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ মানে আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে খেলা। তারা গত দুটি বিশ্বকাপে খেলেছে। বিশ্বকাপে ভালো করেছে। আমরা কোনো দলকেই খাটো করে দেখি না। এখন বিশ্ব ক্রিকেটে কাউকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। সবাই ভালো খেলছে, সবাই জেতার জন্য খেলে। আমাদেরও তাই সেই মানটাই মেলে ধরতে হবে, যেভাবে আমরা চালিয়ে যেতে চাই।’
সেই ‘মান’ আসলে কোনটি, তা জানিয়ে রাখলেন সিমন্স। ‘শ্রীলঙ্কায় যে মান আমরা মেলে ধরেছি, সেটিই ধারে রাখতে চাইব আমি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের কিছুটাও বয়ে নিতে চাইব, যদিও ওই সিরিজে মিরপুরের উইকেট শ্রীলঙ্কার মতো অতটা ভালো ছিল না। শ্রীলঙ্কায় আমাদের ওই স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে চাই।’ শ্রীলঙ্কা সফরের মতো খেলতে পারলে বাংলাদেশ যে জিতবে, তা নিয়ে সংশয় নেই। এশিয়া কাপের প্রস্তুতিও তখন আদর্শ হবে। এশিয়া কাপকে ভাবনায় রেখেই তো ডাচদের বিপক্ষে সিরিজটি আয়োজন করছে বিসিবি।
বাংলাদেশ কোচ অবশ্য এখনই এশিয়া কাপের ভাবনায় বুঁদ থাকতে চান না ‘চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় পৌঁছতে হলে তো আগে প্রাথমিক পর্ব উতরাতে হয়। কাজেই এশিয়া কাপ নিয়ে আমি ভাবছি না। এশিয়া কাপ আসবে এটির পরে। এটি আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে একটি আন্তর্জাতিক সিরিজ। আমাদের মনোযোগও এই সিরিজে।’
গত কিছুদিন ধরেই সিলেটে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল। এই সিরিজটিও সিলেটে আয়োজন করায় খুশি কোচ। ‘যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে সিলেটের কন্ডিশন আমার দেখা বিশ্বের অন্য আদর্শ জায়গাগুলোর মতোই, গত ৫-৬ মাসে আমি যা দেখেছি। বিশ্বের যে কোনো জায়গার সঙ্গেই সিলেটের তুলনা করা যায়। কয়েকবার এখানে এসেছি, সবসময়ই দেখেছি- এখানকার উইকেটের মান, অনুশীলন উইকেটের মান খুব ভালো।’
