‘হামজা অলরেডি একজন নেতা’
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

যখন থেকে বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের হামজা চৌধুরী, ঠিক তখন থেকেই যেন লাল সবুজের ফুটবল চিত্রটা পাল্টে গেছে। মৃতপ্রায় ফুটবলে জোয়ার এসেছে। রীতিমতো টিকিট কেটে আসছেন দর্শকরা। হামজাও মাঠে নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করছেন। যার প্রমান এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই। তাইতো হামজাকে এখন এই দলটির নেতা বলছেন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। গতকাল রোববার হংকংয়ে অনুশীলনের আগে কোচের কথা, ‘সবসময় বলেছি, হামজা এরমধ্যেই দলের একজন অধিনায়ক। মাঠে এবং মাঠের বাইরে সে একজন নেতা। একজন খেলোয়াড়, যে শুরু থেকেই তার সতীর্থদের পথ দেখাচ্ছে। আমরা খুব ভাগ্যবান যে আমাদের এমন কিছু অধিনায়ক (নেতা) আছে- জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মন, সোহেল রানা, রহমত মিয়া ও হামজা চৌধুরী।’
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় হংকংয়ের বিপক্ষে হারলেও সেটপিস থেকে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম গোলটি আসে হামজার পা থেকে। তাইতো হংকং বিমান বন্দরে নামার পর থেকেই তাকে ঘিরে আগ্রহের কমতি নেই স্থানীয় সমর্থকদের মধ্যে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ অটোগ্রাম নিতে আসছেন। আবার কেউ হামজার সঙ্গে ছতি তুলতে ব্যস্ত। তবে অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশকে অনুশীলনের জন্য যে মাঠ দিয়েছে হংকং, তা উঁচু-নিচু। এ বিষয়ে কিছু না বললেও কোচ কাবরেরা অবশ্য সব কিছু ভালই বলছেন, ‘আমরা একটি ভালো হোটেলে আছি এবং রোববার প্রথম অনুশীলন সেশনটি শেষ করেছি। যদিও হোটেল থেকে অনুশীলন মাঠ কিছুটা দূরে, তবুও এটি আমাদের এখানে আবহাওয়া এবং জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার উপায় ছিল।’
সামিত সোমকে নিয়ে কোচের কথা, ‘সামিত এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছে। প্রথম ম্যাচে বিশেষ করে সে ম্যাচের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে পৌঁছেছিল। তবে সে ভালো অনুভব করছে। শেষের দিকে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট খেলেছে। আশা করা যায়, দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য সে পুরোপুরি ফিট থাকবে।’
অনুশীলনের মাঠ নিয়ে কোচ কিছু না বলেও অভিযোগের সুর সোহেল রানার কণ্ঠে, ‘এই সমস্যার মুখোমুখি আমাদের হতে, সেই মানসিকতা নিয়েই এখানে এসেছি। অনুশীলন মাঠ হোটেল থেকে প্রায় একঘণ্টার বেশি দূরতে। মাঠ খুব বাজে ছিল। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম আমাদের সঙ্গে ওরা এরকম করবে। আজও (গতকাল) একই অবস্থা।’
