‘ভারত-অস্ট্রেলিয়াও বাংলাদেশের সঙ্গে পেরে উঠবে না’
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে। ব্যাটিং ভালো হলে বোলিং ভালো হয় না, আবার বোলিং ভালো হলে ব্যাটিং ভেঙে পড়ে। ফিল্ডিংও ঠিকঠাক কাজ করছে না, ফলে একসঙ্গে তিন বিভাগে জ্বলে উঠতে পারছে না টাইগাররা। যার প্রভাব পড়েছে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে। সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুইটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে আগেই। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ছন্দে নেই বাংলাদেশ। নিজেদের খেলা শেষ ১১টি ওয়ানডের মধ্যে ১০টিতেই হার। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, কোনো বিভাগেই ধারাবাহিকতা নেই। যার প্রভাব পড়েছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও, একসময় যেখানে ছয় বা সাত নম্বরে থাকতো বাংলাদেশ, এখন নেমে এসেছে দশে। ফলে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ নিয়েই তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তবে এখনও আশার আলো আছে। বিশ্বকাপের আগে ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে বাংলাদেশের সামনে। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে যদি র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ৯ দলের মধ্যে থাকতে পারে, তাহলে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ মিলবে। না হলে বিশ্বকাপের আগে বাছাই পর্বে খেলতে হবে। সবচেয়ে বড় সমস্যা, একই ম্যাচে তিন বিভাগেই ভালো করতে না পারা। সাম্প্রতিক সময়ে বোলাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো করলেও সেটাও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আর ব্যাটিং তো শুরু থেকেই বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে আছে। কখনও টপ অর্ডার ভালো করলে ব্যর্থ হচ্ছেন মিডল অর্ডার, আবার উল্টো চিত্রও দেখা যায়। এর সঙ্গে মিডল অর্ডারের স্পিন মোকাবিলায় দুর্বলতা তো আছেই। তবে দলে এক ঝলক ইতিবাচক দিক নিয়ে এসেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। পরাজয়ের মধ্যেও তিনি বিশ্বাস হারাচ্ছেন না। বরং এখনকার সময়টাকে শেখার পর্যায় হিসেবে দেখছেন।
তৃতীয় ওয়ানডের আগে রিশাদ বলেন, ‘আমরা এখন একটু ব্যাকফুটে আছি বা আমরা সামনের দিকে ভালো কিছু করার জন্য হয়তো বা এটা আমাদের একটা লার্নিং প্রসেস হইতে পারে। যে আমাদের সামনে অনেক খেলা আছে এবং ওয়ার্ল্ড কাপ আছে। তো আমরা এতকিছু চিন্তা করতেছি না।’
