দক্ষিণ আফ্রিকার জয়রথ থামাল পাকিস্তান
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া ডেস্ক

লাহোরের স্পিন নির্ভর উইকেটে একেবারে প্রথম দিন থেকেই টার্ন পেয়েছেন স্পিনাররা। বিশেষ করে নোমান আলী ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার সাউথ আফ্রিকার ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসেও, পেয়েছেন চারটি উইকেট। নোমানের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট পেয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদিও। তাদের দুজনের এমন বোলিংয়েই কাজটা সহজ হয়েছে পাকিস্তানের। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের হাফ সেঞ্চুরির পরও ১৮৩ রানের বেশি করতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। ৯৩ রানের জয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২৭ চক্রে পাকিস্তানের শুরুটা হলো ভালোভাবে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে দুই দলেরই প্রথম ম্যাচ ছিল এটি। জয় দিয়ে শুরু হলো পাকিস্তানের পথচলা। আগের চক্রের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার শিরোপা ধরে রাখার অভিযানের শুরুটা ভালো হলো না। টানা ১০ টেস্ট জয়ের পর হারের তেতো স্বাদ পেল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টিসহ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের নায়ক নোমান আলি। ৩৯ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার ২০ টেস্টের ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার পেলেন এই স্বাদ। দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ তিনটিসহ দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিও। পাকিস্তানের মাটিতে টেস্টে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। স্পিন সহায়ক উইকেটে তৃতীয় দিন শেষে জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ২২৬ রান, আর স্বাগতিকদের ৮ উইকেট।
গতকাল বুধবার দিনের তৃতীয় বলেই টনি ডি জর্জিকে এলবিডব্লিউ করে প্রোটিয়া শিবিরে ধাক্কা দেন আফ্রিদি। নতুন ব্যাটসম্যান ট্রিস্টান স্টাবস টিকতে পারেন কেবল আট বল। তাকে স্লিপের ক্যাচ বানিয়ে তৃতীয় শিকার ধরেন নোমান। ২ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর তখন ৪ উইকেটে ৫৫। এরপরই উইকেটে যাওয়া ব্রেভিস শুরুতে কিছুটা সময় নেন, পরে শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। নোমানের একই ওভারে চার বলের মধ্যে মারেন দুটি চার ও একটি ছক্কা। নোমানের আরেক ওভারে একটি করে চার ও ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি ৫১ বলে। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান রায়ান রিকেলটনের সঙ্গে জমে ওঠে ব্রেভিসের জুটি। কিন্তু নোমানের পরের ওভারে রিভার্স সুইপে চার মারার এক বল পরই চমৎকার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান ব্রেভিস। ৬ চার ও ২ ছক্কায় তিনি করেন ৫৪ বলে ৫৪ রান।
৭৩ রানের জুটি ভাঙার পর দক্ষিণ আফ্রিকার আশাও কার্যত শেষ হয়ে যায়। খানিক পর রিকেলটনকে (১৪৫ বলে ৪৫) থামান অফ স্পিনার সাজিদ খান। পরে তার শিকার সেনুরান মুথুসামি। নিজের পরপর দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দেন আফ্রিদি। কাজে এলো না ম্যাচে স্পিনার মুথুসামির ১১ উইকেট। স্রেফ ১৭ রানে শেষ ৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৬৭ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানের লিড মূলত এগিয়ে রাখে স্বাগতিকদের। আগামী সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
