ঢাকায় মেয়েদের কাবাডি বিশ্বকাপ

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত প্রায় ২০ বছর এশিয়ান গেমসে পদকহারা পুরুষ কাবাডি দল। মেয়েরা পদক বঞ্চিত ১১ বছর ধরে। ঘরোয়া কাবাডিতে অর্থ আর চাকচিক্যই অভাব নেই। কিন্তু আন্তর্জতিক আসর থেকে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। তারপরও নাকি কাবাডিতে ‘দৃশ্যমান উন্নতি’ হচ্ছে। মেয়েদের বিশ্বকাপ কাবাডির আয়োজনকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচণ্ডবাংলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডরেশনের সাধারন সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘কাবাডির উন্নতি এখন দৃশ্যমান। তা আপনারা নিজের চোখেই দেখছেন। দেশজুড়ে চলছে জাতীয় কাবাডি। এখন আয়োজন করতে যাচ্ছি মেয়েদের বিশ্বকাপ কাবাডি।’ এ সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) কাজী নজরুল ইসলাম ও ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ব্রি. জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন উপস্থিত ছিলেন। গত আগষ্টে ভারতের বিহারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই বিশ্বকাপ। কিন্তু ভারতে বিশ্ব কাবাডি ফেডরেশন ও আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে তা আর সম্ভব হয়নি। ফলে তখন থেকেই বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫-২৫ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ১৪ দেশের অংশগ্রহণে এই বিশ্বকাপ। শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নেবে আর্জেন্টিনা, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইরান, ভারত, জাপান, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, উগান্ডা এবং জাঞ্জিবার। এছাড়া এই ১৪টি দেশের মধ্যে কোনটি খেলতে না চাইলে স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখা হয়েছে পাকিস্তান ও পোল্যান্ডকে। বিদেশি দলগুলোর আসা-যাওযা, নিরাপত্তা, আবাসন ও স্থানীয় যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে। মেয়েদের কাবাডি বিশ্বকাপের বাজেট ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সরকারের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা পাওয়া যাবে এবং বাকি টাকা স্পন্সর থেকে জোগাড়ের চেষ্টা করছে ফেডারেশন।

বিপুল অর্থ খরচ করে বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারুণ্যর উৎসবের অংশ হিসেবে আমরা বিশ্বকাপ আয়োজন করছি। বিশ্বকাপ আয়োজন যে কোনো দেশের জন্যই মর্যাদার। ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ ভাবনা নিয়ে আমরা এর সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি। জাতীয় খেলা হিসেবে আমরা কাবাডিকে সামনে নিতে চাই। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ইউরোপের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক তৈরি হবে।’

সাড়ে ১০ কোটি টাকা কীভাবে খরচ হবে, তা নিয়েও বিস্তারিত জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। দলগুলোর বিমান খরচ, থাকাণ্ডখাওয়াসহ সব খরচ বহন করতে হবে আয়োজকদেরই। কেন এত টাকা খরচ করে বাংলাদেশ এই আয়োজন করবে, সেটাও বলেছেন সাধারণ সম্পাদক, ‘টিকিটের সাড়ে তিন কোটি টাকা দেবে আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন (আইকেএফ)। আমরা কোনো টাকা নেব না আইকেএফের কাছ থেকে। সরকারের কাছ থেকে পাব ৫ কোটি টাকা। বাকি টাকা স্পনসরের কাছে থেকে নেব। আমরা মনে করি, দেশের কাবাডিতে বিশ্বকাপের একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ কারণেই এই আয়োজন।’