‘চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম বহিষ্কার’
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম বহিষ্কার’ আমরা কে আমরা কে, গাজা খোর গাজা খোর। কে বলেছে কে বলেছে, বিটিএফ, বিটিএফ’, গতকাল বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারের সামনে এমন স্লোগানে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেন প্রায় শ’খানেক তায়কোয়ান্দোকা। যাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকার ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও ছিলেন। সম্প্রতি এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী তায়কোয়ান্দোকা দিপু চাকমাকে মাদকসেবনকারী আখ্যা দিয়ে ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ক্যাম্প থেকে অব্যাহতি দেয় ফেডারেশন। যার প্রতিবাদে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আসরে পদকজয়ী প্রায় সাত থেকে আটজন আসন্ন এসএ গেমসের ক্যাম্প থেকে নিজেরাই অব্যাহতি নেন। মানববন্ধন শেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান আসিফ আহমেদ সজীব ভূঁইয়ার (যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা) একান্ত সহকারী সাইফুল ইসলামের কাছে স্মারকালিপি দেন তারা।
মানববন্ধনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিয়ম, বিশৃংখলা ও পক্ষপাতমূলক আচরনের কারণে খেলোয়াড়দের অনুশীলন ও মানসিক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সম্প্রতি জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে অন্যায় এবং হটকারী সিদ্ধান্ত, হুমকি এবং অবৈধ বহিষ্কারের ঘটনা খেলোয়াড়দের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল এরশাদুল হক, সহ-সভাপতি হাসানুজ্জামান খান এবং দুই সদস্য আরিফ রব্বানী ও মারিয়াম বেগমণ্ড ফেডারেশন থেকে এই চারজনের অব্যাহতি চাই আমরা।’
তিনি যোগ করেন, ‘দিপুর চাকমাকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দিয়েছে। একজন স্বর্ণজয়ী খেলোয়াড়ের প্রতি অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে আমরা আটজন খেলোয়াড় ক্যাম্প থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’ এই আট খেলোয়াড় হলেন- ফয়সাল আহমেদ, আবু জায়েদ খান, ফাতেমা ইসলাম, শেখ ইসলাম, মো. ইলিয়াস, লুবাবা বিনতে আমজাদ, সাগর শেখ ও নবীন চন্দ্র বড়ুয়া।
স্মারকলিপিতে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেন তায়কোয়ান্দোকারা। এর মধ্যে অন্যতম যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের সম্মানের সঙ্গে পুনরায় দলে অন্তর্ভুক্তি করা এবং হত্যা মামলার আসামি, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চলের জন্য ক্যাম্পে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। তিন দিনের মধ্যে এই দাবি মানা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি দেবেন তায়কোয়ান্দোকারা।
