ঢাকা-তৃণমূলকে সুতোয় গাঁথতে ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স’

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

পূর্ণাঙ্গ মেয়াদের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নির্বাচিত হয়ে খেলাটির উন্নয়নে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন সংস্থাটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। প্রথম ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স’-এক ক্রিকেটীয় ছাতার তলে গোটা দেশ! গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) ‘হোম অব বিএসপিএ’র গ্রান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন বুলবুল। তার আগে রোববার রাতে ভিডিও বার্তায় জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সের বিস্তারিত।

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ক্রিকেট ছড়িয়ে আছে, আটটি বিভাগে ক্রিকেট ছড়িয়ে আছে। এমন সকলকে জানা, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে জানা, আমাদের প্রতিটি স্টেকহোল্ডার, যেমন জেলার ক্রিকেট প্রেসিডেন্ট, জেলা ক্রীড়া অফিসার, জেলার ক্রিকেট কোচ, জেলার নারী উদ্যোক্তা, সবাইকে এক ছাদের নিচে এনে আমরা জানতে চাইব বাংলাদেশ ক্রিকেটের কী দরকার। আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে সবাইকে সাহায্য করতে পারব। আমরা সকলে মিলে কীভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারব, সবাইকে সম্পৃক্ত করতে পারব।’ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দিনশেষে, আমরা সবাই বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলব, ক্রিকেট নিয়ে আনন্দ করব। ৯ ও ১০ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স। আশা করব, এই কনফারেন্স আমরা সফল করব এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধশালী করব, একে অন্যকে জানব এবং এখান থেকে আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হবে।’ পাঁচ মাস আগে প্রথম দফায় বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে আসছেন আমিনুল। সাবেক এই অধিনায়ক এবার বললেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সের মূল উদ্দেশ্য ঢাকার সঙ্গে তৃণমূলকে এক সুতোয় গাঁথা। ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের সংগঠক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তাদেরকে এক ছাদের নিচে এনে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে ভিশন, যে মিশন, সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে আমরা যেন সবার সেরাটা দিতে পারি, সবাইকে জানতে পারি এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, এগিয়ে নিতে পারি, সেই লক্ষ্যেই আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স করছি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে উদ্দেশ্য, যে ভিশন, সেটা জানতে চাইলে আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে জেলায়-উপজেলায় কী ক্রিকেট হচ্ছে। জেলা-উপজেলার কথা শোনার জন্য এবং ঢাকা থেকে আমরা বিসিবি কতটুকু সাহায্য করতে পারছি, এই মুহূর্তে জেলা-উপজেলায় শক্তি কতটা আছে, সেটা জানার পর যে গ্যাপটা থাকবে, তা আমরা পূরণ করব। এর মাধ্যমে আমরা সম্পর্ক স্থাপন করব এবং এর মাধ্যমে আমরা ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারব ও সবাই ক্রিকেট নিয়ে আনন্দ করতে পারব।’