সদ্য সমাপ্ত এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের ভেন্যু করা হয়েছিল ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। একই সময়ে নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ বাংলাদেশের। এ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। শেষ পর্যন্ত এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ অংশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল আর্মি স্টেডিয়ামে। এবার নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচের রাগবি সিরিজ আয়োজন করছে বাংলাদেশ রাগবি ফেডারেশন। আজ ও আগামীকাল সোমবার দুই ম্যাচের ভেন্যুও জাতীয় স্টেডিয়াম। অন্যদিকে আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও আজারবাইজান নারী দল নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করছে বাফুফে। ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ম্যাচ। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে দলগুলোর অনুশীলন এবং সিরিজ ব্যবস্থাপনায় সময় প্রয়োজন। এজন্য বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক বরাবর রাগবি আন্তর্জাতিক সিরিজ জাতীয় স্টেডিয়ামে বরাদ্দ না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাফুফের সেই অনুরোধ গ্রহণ করেনি।
ফলে আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নেপাল দুই দলের সিরিজ শুরু হচ্ছে। গতকাল শনিবার এ উপলক্ষে রাগবি ফেডারেশন এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে। সম্মেলন শেষে জাতীয় স্টেডিয়ামে মাঠে দুই দলের খেলোয়াড়-কোচরা ফটোসেশনও করেছে। ফুটবলের মাঠে বাফুফে ফুটবলারদের নিয়ে কখনও ট্রফি নিয়ে এ রকম ফটোসেশন করেনি। এমন অবস্থায় ফুটবল ফেডারেশন মাঠের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। তবে রাগবি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খানিকটা অভয় দিলেন, ‘আমরা এখানে পোস্ট করেছি কিন্তু কোনো গর্ত করিনি। আগামীকালের দুটি ম্যাচ মাত্র পনেরো মিনিট করে। রাগবিতে দৌড়াদৌড়ি হলেও বল থাকে হাতে ফলে মাঠে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। আমরা মাঠের সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েই খেলা আয়োজন করছি।’
রাগবির কোনো ভেন্যু নেই। জাতীয় পর্যায়ের খেলা পল্টন ময়দানেই হয়েছে। আন্তর্জাতিক রাগবির ভেন্যু করেছে জাতীয় স্টেডিয়াম। এখানে ভেন্যু করলেও বাংলাদেশ দল অনুশীলন করার সুযোগ পায়নি। আজই প্রথম খেলবে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ ও অধিনায়ক নেপালের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। নেপালের অধিনায়ক ও কোচ স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইয়ের আশা ব্যক্ত করেছেন। এই সিরিজটি নেপালের আয়োজনের কথা ছিল। নেপালে কিছু দিন অস্থিতিশীল পরিবেশ থাকায় খেলাটি বাংলাদেশে হচ্ছে। নেপাল ফুটবল দল সপ্তাহ খানেক আগে বাংলাদেশে এসে ড্র করেছে।
এটা অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছে রাগবি দলও। রাগবি বিশ্বে জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে প্রচার-প্রসার কম। রাগবির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মওসুম আলী খেলাটির জন্য অনেক সংগ্রাম করেছেন। ফেডারেশন পুনর্গঠনের পর তাকে রাখা হয়নি। এরপরও মওসুম আলীর পরামর্শ নিচ্ছে বর্তমান কমিটি। সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের রাগবিতে তার অবদান অনেক। কোনো প্রয়োজনে তার শরণাপন্ন হই। আমরা এই সিরিজকে দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাই। এজন্য খেলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও রেখেছি, সেটাও হবে মাঠের বাইরে।’
