অনূর্ধ্ব-২১ বিশ্বকাপ হকি

আজ বাংলাদেশের সামনে ফ্রান্স

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-৫ গোলে হার, কাগজে-কলমে হার হলেও ম্যাচ শেষে পুরো হকি দুনিয়া তাকিয়ে ছিল লাল-সবুজের তরুণদের দিকে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন নব্য ড্র্যাগ-ফ্লিক সেনসেশন আমিরুল ইসলাম, যিনি হ্যাটট্রিক করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। সেই দীপ্তিতে আজ গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। চেন্নাই মেয়র রাধাকৃষ্ণান হকি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে। দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নামার আগে বাংলাদেশ দলে তৈরি হয় এক ধরনের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই দলের ভেতরে জেতার মানসিকতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু খেলার মাঠে ওভার কনফিডেন্সই কাল হলো প্রথম দুই কোয়ার্টারে। প্রথম কোয়ার্টারে দুই গোল, দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আরেকটি, মোট তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে হকির ছেলেরা। মনে হচ্ছিল পা যেন জমে আছে, মাথায় পরিকল্পনার ঘোরতর অভাব। কিন্তু এখানেই রুপ বদলায় বাংলাদেশের। তৃতীয় ও চতুর্থ কোয়ার্টারে নতুন করে মাঠে নামে সামিন বাহিনী। যা বাংলাদেশের জুনিয়র হকির ইতিহাসে বিরল এক দৃশ্য। সাধারণত খেলার শেষদিকে মিইয়ে যায়; কিন্তু কোরিয়ার বিপক্ষে সেই বয়ান বদলে যায় পুরোপুরি। মাঠে নেমে আসে আগ্রাসী, ছুটে চলা, দম না ফুরোনো এক বাংলাদেশ। ধারাবাহিক আক্রমণে কোরিয়ার রক্ষণ হতচকিত।

একসময়ে ০-৩ পিছিয়ে থাকা দল ম্যাচ শেষ করে ৩-৩ সমতায়। আবারও হ্যাটট্রিক, আবারও ম্যাচ সেরা আমিরুল যেন এই বিশ্বকাপে আলাদা পরিচয় বানিয়ে ফেলছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকেও ৮-৩ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। পুল-এ এটি সবচেয়ে ভয়ংকর, সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ এবং সবচেয়ে শক্তিশালী দল। কিন্তু ভয় পাচ্ছে না বাংলাদেশের শিবির। বরং আত্মবিশ্বাসে ভরপুর পুরো দল। তারা জানে হারানোর কিছু নেই, জেতার আছে অনেক কিছুই। দলের ফরোয়ার্ড ইসমাইল হোসেন জানালেন তাদের পরিকল্পনার কথা, ‘ডিফেন্সিভ খেলেই কাউন্টার অ্যাটাকে যেতে চাই। কোচের নানারকম প্ল্যান আছে, আমরা সেভাবেই খেলতে চাই। কয়েকটি প্ল্যান আমরা আত্মস্থ করেছি।’ সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছেন আমিরুল ইসলাম। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করার পর এখন পৃথিবীর প্রায় সব হকি স্কাউটের চোখ তার ওপর। কিন্তু হকি একক লড়াই নয়, এটি দলের খেলা। সেখানেই সামিনের নেতৃত্ব, ইসমাইল, রাকিব, জয়দের গতি, স্থিরতা এবং গোলরক্ষকের দৃঢ়তা এই ম্যাচে নির্ধারণ করবে লড়াই কতোটা জমবে। বাংলাদেশ জানে ফ্রান্সের শক্তি কোথায়।