ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আক্ষেপ ঘুচিয়ে স্বপ্নপূরণ রুটের

ব্রিসবেন টেস্ট
আক্ষেপ ঘুচিয়ে স্বপ্নপূরণ রুটের

সিরিজ শুরুর আগে থেকেই বইছে আলোচনার ঝড়। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান কি এবার করতে পারবেন জো রুট? প্রথম টেস্টে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ার পর, এবার সেই কালো মেঘ সরিয়ে ব্রিজবেনে দ্যুতি ছড়ালেন তিনি। দারুণভাবে নিজেকে মেলে ধরে, দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার তিন অঙ্কের ইনিংস খেললেন ইংলিশ ব্যাটিং গ্রেট। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বহুল কাঙ্ক্ষিত এই স্বাদ পান রুট। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে যা তার ৪০তম শতক। শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানের অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন রুট। তার ২০২ বলের ইনিংসটি সাজানো একটি ছক্কা ও ১৫ চারে।

সাদা পোশাকে খেলা বেশিরভাগ দেশেই ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন রুট, করেছেন সেঞ্চুরি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় গেলেই যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলতেন তিনি। তাসমান সাগরপারের দেশটিতে কোনোভাবেই পারছিলেন না আলো ছড়াতে। এই সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়ায় তিন সফরে ১৪ টেস্ট খেলে সেঞ্চুরির স্বাদ পাননি রুট। সেখানে ২৭ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৯ ফিফটিতে রান করেন কেবল ৮৯২, ব্যাটিং গড় ৩৫.৬৮। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৮৯ রানের।

এবার অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগ থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রুট। অ্যাশেজ শুরুর আগে এ বছর ১০ ইনিংসেই করেন ৫৭১ রান, সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনটি। তাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ডেরায় এবার তার সেঞ্চুরি পাওয়া নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন অনেকেই। তবে সবাইকে বোধহয় ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া সাবেক তারকা ওপেনার ম্যাথু হেইডেন। এবার অস্ট্রেলিয়ায় রুট সেঞ্চুরি না পেলে এমসিজিতে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) নগ্ন হাঁটবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি। দারুণ সেঞ্চুরিতে তাকে সেই বিব্রত অবস্থা থেকে বাঁচিয়ে দিলেন রুট।

ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যান রুটের চলতি অ্যাশেজের শুরুটা হয় বেশ বাজে। পার্থে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারেন কেবল ৮ রান। ম্যাচটি দুই দিনেই হেরে যায় ইংলিশরা। গ্যাবায় সমতায় ফেরানোর লড়াইয়ে নেমেও শুরুটা খুবই খারাপ হয় ইংল্যান্ডের। পাঁচ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।

এরপর দলের হাল ধরেন রুট। একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান তিনি। মুখোমুখি প্রথম বলেই ডাবল নিয়ে রানের খাতা খোলেন রুট। এক বল পর মারেন প্রথম বাউন্ডারি। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ৮৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে পাঁচটি বাউন্ডারি। পঞ্চাশের পর আরও কমে যায় রুটের রান তোলার গতি। দলের একের পর এক উইকেট হারানোর প্রভাব থাকতে পারে এতে। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে রুট খেলেন ৯৮ বল। ৬৬তম ওভারে স্কট বোল্যান্ডকে লেগ সাইড দিয়ে চার মেরে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পা রাখেন রুট, ১৮১ বলে। তার সেঞ্চুরি ছোঁয়ার উদযাপনে ফুটে ওঠে, কতোটা আকাঙ্ক্ষিত ছিল তার এই ইনিংস। এরপর নিজের ইনিংসকে আরও টেনে নেন রুট। শেষ পর্যন্ত তাকে আর ফেরাতে পারেনি ইংল্যান্ড। গ্যাবায় প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার রুট। ১৯৩৬/৩৭ মৌসুমে ১২৬ রান করেছিলেন মরিস লেল্যান্ড।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত