স্বপ্ন পূরণ হলো না আনিসুলের
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটাকে ডাবল সেঞ্চুরি বানানোর স্বপ্ন নিয়েই দিনটা শুরু করেছিলেন ঢাকা বিভাগের ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন। কিন্তু পারলেন না তিনি। আগের দিন ডাবল সেঞ্চুরির অপেক্ষা নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেন ঢাকার এই ব্যাটার। গতকাল রোববার ১৮৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা আনিসুল আর মাত্র ৩ রান যোগ করেই জাতীয় দলের পেসার হাসান মাহমুদের বলে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়েছেন। তবে তারই সতীর্থ আশিকুর রহমান শিবলি আজ ব্যাটিংয়ে ফিরেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তিন সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে ঢাকা।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৪১ রান করেছে ঢাকা বিভাগ। গত শনিবার ১৮৩ রানে দিন শেষ করা ইমন গতকাল সকালে ফিরেছেন ১৮৬ রানে। ১০০ রানে অপরাজি থাকেন শিবলি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। ২ উইকেটে ৩৫৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ঢাকা। তবে মাঠে নামার পর স্কোরবোর্ডে ৩ রান যোগ হতেই হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আনিসুল ইসলাম ইমন। ১৮৬ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। ২৩৮ বলের ইনিংসে ১৮ চার ও ৫ ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকে। এরপর ব্যাটিংয়ে ফেরেন শিবলি। শনিবার ২৭ রানে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। আজ মাঠে ফিরে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন এই ব্যাটার। পঞ্চম উইকেটে মার্শাল আইয়ুব ও শিবলি মিলে গড়েন ১০৫ রানের জুটি। অন্যপ্রান্তে দারুণ খেলতে থাকা মার্শাল দেড়শ পূরণ করেন ২২০ বলে। এরপর বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরির দিকে; কিন্তু তিনিও পারলেন না ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করতে। ব্যক্তিগত ১৬৫ রানে তাকে ফেরান চট্টগ্রামের স্পিনার হাসান মুরাদ। এরপর ঢাকার অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অংকনকে নিয়ে আবার নতুন করে জুটি গড়েন শিবলি। তবে সেটা বেশি বড় হয়নি, বাকিরা হঠাৎ করে যাওয়ার-আসার মিছিল শুরু করলেও অন্যপ্রান্তে অবিচল ছিলেন শিবলি। ২০১ বলে তিনি সেঞ্চুরি পূরণ করতেই ৬ উইকেটে ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় ঢাকা।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৩ রানেই ৪ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। সুমন খান একাই ফেরান মাহমুদুল হাসান জয় ও ওমর হাসানকে। এরপর ইয়াসির রাব্বি ও ইরফান শুক্কুর মিলে এখন বিপর্যয় ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
ঢাকার মতো রাজশাহী বিভাগেরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে আগেই। তবে ঢাকার মতোই তারাও আরেক শিরোপাপ্রত্যাশী দল ময়মনসিংহের স্বপ্ন ভাঙতে যাচ্ছে। সিলেটে প্রথম ইনিংসে ২১৯ রান করেও ৮২ রানের লিড পাওয়া রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২১০ রান তুলে এগিয়ে গেছে ২৯২ রানে। ২ উইকেটে ৭৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা ময়মনসিংহ রোববার ২৪.৩ ওভারে ৬৪ রান তুলেই অলআউট। রাজশাহীর বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ৫.১ ওভার বোলিং করেই ১৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এক স্পেলেই ৫ উইকেট নিয়ে ১২০/৫ থেকে ময়মনসিংহকে ১৩৭ রানে অলআউট করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৭তম বার ৫ উইকেট নিয়েছেন সানজামুল।
এদিকে রাজশাহীতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল সিলেট দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ২১৪ রান নিয়ে। এর আগে ৯ উইকেট ২৬৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা বরিশাল ৩১২ রানে অলআউট হয়। দশম উইকেটে রুয়েল মিয়াকে নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট সোহাগ গাজী (৬৮)। জুটির ৪৩ রানই সোহাগের। সিলেট ৪৭ রানেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। সেখান থেকে আশরাফুল হাসানকে (৪১) নিয়ে ১১৩ রানের জুটি গড়েন জাকির হাসান। ব্যাটিং ওপেন করা সিলেট অধিনায়ক দিন শেষে অপরাজিত ১৩০ রানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি ১৬তম সেঞ্চুরি। এই ইনিংস খেলার পথেই ৬ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়েছেন জাকির।
