যুব এশিয়া কাপ

নেপালকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশের যুবারা

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

৭ বল হাতে রেখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন লাল সবুজ দল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। তাও আবার ১৫১ বল হাতে রেখে। জিততে প্রয়োজন ৩ রান, ইউভরাজ খাত্রিকে ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দিলেন রিজান হোসেন। শেষের মতো ম্যাচ জুড়েই দাপট দেখাল বাংলাদেশ যুব দল। বোলারদের চমৎকার পারফরম্যান্সের পর জাওয়াদ আবরারের পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে অনায়াস জয় তুলে নিল তারা।

গতকাল সোমবার দুবাইয়ের ‘দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে’ যুব এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। নেপালকে ১৩০ রানে থামিয়ে অর্ধেকের বেশি ওভার (২৫.১) বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে তারা। টানা দুই জয়ে সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশের যুবারা। পরের ম্যাচে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নেয় শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের জয়ে শেষ চারে খেলা নিশ্চিত হয় বাংলাদেশেরও। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আফগানদের ২ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষের ২৩৫ রান ৪ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে তারা। টানা দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপে এখন দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে শীর্ষে আছে শ্রীলঙ্কা।

আগের ম্যাচে ৯৬ রান করা জাওয়াদ এবার খেলেন অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস, ৩ ছক্কা ও ৭ চারে। দুই ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জেতেন বাংলাদেশের ওপেনার। ম্যাচের প্রথমভাগে বল হাতে আলো ছড়িয়ে ২৭ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সবুজ। দুটি করে প্রাপ্তি সাদ ইসলাম, শাহরিয়ার আহমেদ ও আজিজুল হাকিমের।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নেপাল শিবিরে সপ্তম ওভারে আঘাত হানেন সাদ। ওপেনার সাহিল প্যাটেলকে ফিরিয়ে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নেপাল। দুই ওভার পর ভানশ ছেত্রির স্টাম্প ভেঙে দেন শাহরিয়া আল-আমিন। পরের ওভারে সবুজ ধরেন জোড়া শিকার। নিরাজ কুমার ইয়াদাভকে কট বিহাইন্ড করার পরের বলে নিশ্চালকে বোল্ড করে দেন এই পেসার। সিব্রিন শ্রেষ্ঠার ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তৃতীয় শিকার ধরেন সবুজ। ৬১ রানে পাঁচ উইকেট হারানো নেপালের রান একশ পার হয় আশিস লুজার ও আভিশেক তিওয়ারির ব্যাটে। ১ চারে ২৩ রান করেন আশিস। আর ২ ছক্কায় ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে আভিশেকের ব্যাট থেকে। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ সূচনার পর জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারের প্রথম দুই বলে ফিরে যান রিফার বেগ ও আজিজুল হাকিম। অধিনায়ক আজিজুল কাটা পড়েন রানআউটে।

২৯ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টানেন জাওয়াদ ও কালাম সিদ্দিকি। চমৎকার ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেন তারা। যখন মনে হচ্ছিল, অবিচ্ছিন্ন থেকে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরবেন দুইজন, তখনই বিদায় নেন ৪টি চারে ৩৪ রান করা কালাম। ভাঙে ৯২ রানের জুটি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫২ বলে ফিফটি ছোঁয়া জাওয়াদ কাজ শেষ করে ফেরেন। তার সঙ্গে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রিজান হোসেন। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আগামী বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।