বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের পরীক্ষা নেবে আফগান-নামিবিয়া

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ কলকাতা ও এক ম্যাচ মুম্বাইতে খেলবে বাংলাদেশ। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে লিটন দাসের দলকে যেতে হবে বেঙ্গালুরুতে। সেখানে অফিসিয়াল দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন তারা। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে কে কার প্রতিপক্ষ বা ম্যাচগুলোর সূচি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি আইসিসি। তবে বাংলাদেশের দুই প্রতিপক্ষের নাম আগেই জানিয়ে দিল বিসিবি। বিশ্বকাপের আগে গা গরমের ম্যাচে নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে লিটন কুমার দাসের দল।

বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্যাচগুলো যে দুই ভেন্যুতে খেলবে, সেখানে অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এই প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি হবে বেঙ্গালুরুতে। বিপিএল শেষ হওয়ার ৫ দিন পর আগামী ২৮ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুর পথে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিপিএল শেষ হওয়ার আগে বিশ্বকাপ দলের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। ‘আমাদের প্রস্তুতিটা আমরা খুব হিসেব করে সাজাচ্ছি। বিপিএলে যাদের খেলা আগে শেষ হয়ে যাবে, তাদের নিয়ে আগেভাগেই কাজ শুরু হবে। যারা শেষ চারে কোয়ালিফাই করতে পারবে না, কিন্তু জাতীয় দলের সম্ভাব্য খেলোয়াড়-তাদের আগেভাগেই প্রস্তুতির আওতায় আনতে চাই আমরা।’

বিপিএল শেষ হওয়ার পর হাতে সময় কম থাকায় ঘরের মাঠে লম্বা কোনো ক্যাম্প করার সুযোগ নেই, বললেন নাজমূল। ‘বিপিএল শেষ হলেই দুই-তিন দিনের ছোট একটা ক্যাম্প হবে। এরপর ২৮ জানুয়ারি দল বেঙ্গালুরুতে যাবে। সেখানে নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলব আমরা।’ বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের চোটমুক্ত রাখা এবং ফিটনেস বজায় রাখা বিসিবির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে টানা খেলার মধ্যে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে বোর্ড। ‘বোর্ডের একজন ট্রেইনার পুরো বিপিএল কাভার করবেন। জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোড জিপিএসের মাধ্যমে মনিটর করা হবে। কেউ যদি ‘রেড জোনে’ (অতিরিক্ত চাপের মুখে) চলে যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানানো হবে যেন তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। আমাদের ফিজিও ও ট্রেইনাররা নিয়মিত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। জাতীয় দলের স্বার্থে পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই এই ম্যানেজমেন্ট প্রক্রিয়া চলবে।’ ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।