আফঈদা-ঋতুকে ঘিরে রাজশাহীর শিরোপা স্বপ্ন
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয়োজিত নারী ফুটবল লিগে অভিষেকেই বড় লক্ষ্য নিয়ে নামছে রাজশাহী স্টারস এফসি। জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ও তারকা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমাকে দলে টেনে শিরোপার লড়াইয়ে নামার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে নতুন এই ক্লাবটি। দেড় বছরের বিরতির পর ফিরছে দেশের শীর্ষ নারী ফুটবল লিগ। আগামী ২৯ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে ১১টি দল। প্রথম মৌসুমেই শিরোপা চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্য নিয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড গড়তে ব্যস্ত রাজশাহী স্টারস। আফঈদা ও ঋতুর পাশাপাশি জাতীয় দলের একাধিক সিনিয়র ও বয়সভিত্তিক খেলোয়াড়- শিউলি আজিম, মুন্নি আক্তার, শহীদা আক্তার রিপা, আলপি আক্তার, সৌরভী আকন্দ প্রীতি, পূজা দাস, নাদিয়া আক্তার জুঁই ও স্বর্ণা রানী মণ্ডল রাজশাহীভিত্তিক এই দলে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি নেপাল ও পাকিস্তান থেকে খেলোয়াড় আনার চেষ্টা করছে ক্লাবটি। রাজশাহী স্টারসের ম্যানেজার মুশফিকুর রহমান গতকাল বলেন, ‘নাবিল গ্রুপের অর্থায়নে রাজশাহী স্টারস বাফুফের নির্ধারিত তিনটি পট থেকে ১১ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তি করে প্রায় শক্তিশালী দল গঠন শেষ করেছে। আমরা লিগ শিরোপার জন্য লড়াই করব।’ তিনি জানান, খেলোয়াড়দের চুক্তির পারিশ্রমিক সর্বনিম্ন ৭৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
মুশফিকুর রহমান বলেন, এই উদ্যোগ নাবিল গ্রুপের ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘমেয়াদি সম্পৃক্ততারই অংশ। ‘নাবিল গ্রুপ আগেও রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের মাধ্যমে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যুক্ত ছিল। নারী ফুটবল দল গঠনও দেশের নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করার আরেকটি পদক্ষেপ,’ বলেন তিনি। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে খেলোয়াড় নিয়ে তাদের শীর্ষ লিগে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রতিযোগিতামূলক ভারসাম্য বজায় রাখতে বাফুফে কেন্দ্রীয় পুলে রেখেছে ৩৬ জন খেলোয়াড়। নিয়ম অনুযায়ী ক্লাবগুলো পট-১ থেকে পাঁচজন (১৩ জন সিনিয়র), পট-২ থেকে পাঁচজন (১৮ জন বয়সভিত্তিক) এবং পট-৩ থেকে একজন গোলরক্ষক দলে নিতে পারবে। এক মাসব্যাপী টুর্নামেন্টের জন্য ১৩ দিনের ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হবে ২৬ ডিসেম্বর। এদিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নাসরিন স্পোর্টস একাডেমিসহ অন্যান্য ক্লাবও স্কোয়াড চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত। নতুন দল বাংলাদেশ পুলিশ নারী এফসি শুরুতে মারিয়া মান্ডা, মনিকা চাকমা ও রুপনা চাকমাকে নিয়ে তারকাবহুল দল গড়ার পরিকল্পনা করলেও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তা সংশোধন করেছে।
বাংলাদেশ পুলিশ নারী এফসির সমন্বয়ক ও উপপুলিশ কমিশনার কাজী নুসরাত এদিব লুনা বলেন, ‘আমরা একজন অনূর্ধ্ব-১৭ খেলোয়াড়সহ পাঁচজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে টোকেন মানি দিয়েছি। সিনিয়র ও জুনিয়রের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়াই আমাদের লক্ষ্য।’ অন্যদিকে নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি এবার তুলনামূলক মাঝারি মানের দল গড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আর্মি, আনসার ও ভিডিপি এবং বিকেএসপি মূলত নিজেদের খেলোয়াড়দের ওপর নির্ভর করবে, যদিও আনসার ও ভিডিপি দলে কয়েকজন জাতীয় দলের সদস্য থাকতে পারেন।
