প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় একটি ওষুধ ‘ইমার্জেন্সি পিল’। কিন্তু এ সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? আর যা জানি, তার কতটুকুই বা সঠিক? এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ‘ইমার্জেন্সি পিল’ কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নয়। এটি শুধু অপরিকল্পিত সহবাসের ফলে অযাচিত গর্ভধারণ প্রতিহত করে মাত্র-
ইমার্জেন্সি পিল একটি হরমোনাল ওষুধ, যা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ; অর্থাৎ ওভুলেশনের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেয় অথবা নিষিক্ত ডিম্বাণুকে জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হতে বাধা দেয়। যাদের এরই মধ্যে ওভুলেশন হয়ে গেছে অথবা নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ কোনো কাজ করে না।
সেবনবিধি
অপরিকল্পিত ও অনিরাপদ সহবাসের তিন দিনের মধ্যে ওষুধটি খেতে হবে। তবে যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায়, তত ভালো কাজ করে। একটি পিল একটি ঋতুস্রাব চক্রে একবারই খাওয়া যাবে।
কারা খেতে পারবেন
১. যারা কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ব্যবহার করছেন না।
২. কনডম ছিঁড়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে।
৩. পরপর দুই-তিন দিন জন্মনিয়ন্ত্রণের নিয়মিত পিল খেতে ভুলে গেলে।
কারা খাবেন না
১. যাদের এ ওষুধ খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হয়।
২. যারা এরইমধ্যে গর্ভধারণ করে ফেলেছেন।
৩. যাদের ঋতুস্রাব অনিয়মিত বা অতিরিক্ত রক্ত যায়।
খাওয়ার পর যেসব সমস্যা হতে পারে
১. বমি বমি ভাব।
২. তীব্র মাথাব্যথা।
৩. ওজন বৃদ্ধি।
৪. পরবর্তী ঋতুস্রাব আগে বা দেরিতে হতে পারে, অতিরিক্ত রক্ত যেতে পারে।
৫. ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে।
৬. পরবর্তী সময়ে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে (ঘন ঘন ওষুধ খেলে)।
যখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে
১. রক্ত এক সপ্তাহের বেশি গেলে।
২. পেটে তীব্রব্যথা তিন-পাঁচ সপ্তাহের বেশি থাকলে।
৩. ওষুধ সেবনের দুই ঘণ্টার মধ্যে বমি হলে।
৪. তিন সপ্তাহের মধ্যে ঋতুস্রাব না হলে।
যারা নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ব্যবহার করছেন
এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ‘ইমার্জেন্সি পিল’ কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণপদ্ধতি নয়। এটি শুধু অপরিকল্পিত সহবাসের ফলে অযাচিত গর্ভধারণ প্রতিহত করে মাত্র। সুতরাং জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত যে পদ্ধতি ব্যবহার করছেন, তা-ই চালিয়ে যাবেন।
ডা. শিমু আক্তার
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ