রিজিক বৃদ্ধির পাঁচ আমল
ফারহান হাসনাত
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
হালাল রিজিক খোঁজা ইসলামের অন্যতম আমল। ইবাদত কবুলের জন্যও হালাল রিজিক পূর্বশর্ত। হারাম রিজিক খেয়ে দোয়া বা আমল করলে আল্লাহ কবুল করেন না। তাই সবসময় হালাল রিজিক অনুসন্ধান করতে হবে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর নামাজ শেষ হয়ে গেলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো এবং আল্লাহকে স্মরণ করো বেশি বেশি, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা : ১০)।
পৃথিবীর প্রতিটি সৃষ্টিজীবের রিজিক আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত। আল্লাহ বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিজিক আল্লাহ নিজ দায়িত্বে রাখেননি। তিনি তাদের স্থায়ী ঠিকানাও জানেন এবং সাময়িক ঠিকানাও। সবকিছুই সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে।’ (সুরা হুদ : ৬)। অনেকে আছেন, আয়-উপার্জন বাড়াতে চান। কাজের উন্নতি চান। চাকরিতে প্রমোশন চান। ইসলামে এমন কিছু আমল বা কাজ রয়েছে, যা করলে রিজিক বাড়ে। এখানে পাঁচ আমল উল্লেখ করা হলো-
ইসতেগফার করা : বেশি বেশি ইসতেগফার পড়ার মাধ্যমে আয়-উপার্জন বৃদ্ধি হয়। আল্লাহ বলেন, ‘আমি তাদেরকে বলেছি, নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করেন। এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে উন্নতি দান করেন এবং তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেন উদ্যান আর তোমাদের জন্য নদ-নদীর ব্যবস্থা করে দেবেন।’ (সুরা নুহ : ১০-১২)।
দোয়া পড়া : এ দোয়াগুলো পড়লে রিজিক বাড়ে। যেমন-
এক. বাংলা উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি জাম্বি, ওয়া ওয়াসসি লি ফি দারি, ওয়া বারিক লি ফিমা রাজাকতানি।’
বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ, আমার গোনাহ ক্ষমা করে দিন, আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন এবং আপনি আমাকে যে রিজিক দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন।’ (তিরমিজি : ৩৫০)।
দুই. বাংলা উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকা ইলমান নাফিআ, ওয়া আমালান মুতাকাব্বালা, ওয়া রিজকান তাইয়িবা।
বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে উপকারী জ্ঞান চাই, কবুল হওয়ার মতো আমল ও পবিত্র রিজিক চাই।’ (ইবনে মাজা)।
আল্লাহর প্রতি ভরসা : আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখার মাধ্যমে রিজিক বাড়ে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যে আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করবে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করবেন, যার কল্পনাও সে করতে পারবে না।’ (সুরা সাদ : ৩৫)।
সময়মতো নামাজ আদায় : সময়মতো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে রিজিক বাড়ে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর আপনি পরিবার-পরিজনকে নামাজ আদায়ের আদেশ দিন এবং নিজেও তার ওপর অটল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমিই আপনাকে রিজিক দিই। আর মুত্তাকিনদের জন্যই শুভ পরিণাম।’ (সুরা তহা : ১৩২)।
আত্মীয়তার বন্ধুন অটুট রাখা : আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে রিজিক বাড়ে। আল্লাহতায়ালা আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচার এবং তাদের হক যথাযথভাবে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সুরা নিসা : ৩৬)।
