দুপুরে মাঠে নামছে ভারত-পাকিস্তান, উত্তেজনা তুঙ্গে

রাজনীতির পাশাপাশি ক্রিকেট বিশ্বে ভারত-পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীতা যেন অন্য পর্যায়ের। এই দুই দলের ম্যাচকে অনেকে ‘ক্রিকেটের এল ক্লাসিকো’ বলে থাকেন। তবে খুব সহজে এই দুই দলের লড়াই দেখতে পাওয়া যায় না। আর তাই যেন এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আজকের ম্যাচ নিয়ে সবার মাঝে রয়েছে তুমুল উত্তেজনা।

আজ রোববার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি।

এই দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ ২০১৭ আসরের ফাইনালিস্টও। সাম্প্রতিক সময়টা ঠিক স্বাচ্ছন্দে না কাটলেও, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুখস্মৃতি নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে পাকিস্তান। অন্যদিকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছ থেকে আগের আসরের শোধ নেওয়ার লক্ষ্যে নামবে এটা স্বাভাবিক ভাবেই অনুমেয়।

ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিল বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান নিঃসন্দেহে একটি বড় ম্যাচ, তবে ফাইনাল সব সময়ই যেকোনো টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। এই দ্বৈরথের অনেক ইতিহাস আছে এবং লাখ লাখ মানুষ এই ম্যাচটি দেখতে ভালোবাসে।

পাকিস্তানকে হারাতে হলে আগে ব্যাট করে ৩০০-৩২৫ রান করতে হবে বলেও জানান গিল। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এই ম্যাচ নিয়ে আমরা অবশ্যই ইতিবাচক এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাই। এই উইকেটে ৩০০-৩২৫ খুব ভালো স্কোর হবে। মাঝের ওভারে যে দল ভালো ব্যাটিং করবে, তারা জেতার আরও ভালো সুযোগ পাবে। শিশির না থাকলে টস কোনো ব্যাপার হবে না। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলের ওপরই চাপটা বেশি থাকবে।

অন্যদিকে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান প্রধান কোচ আকিব জাভেদ বলেছেন, প্রত্যেকটা দলই নিজেদের শক্তির ওপর নির্ভর করে ম্যাচ খেলে। আমাদের শক্তি পেস বোলিং। ১৯৯০ দশকের কথা মনে পড়ছে, আর ভারতের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই বিশেষ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সবসময়ই আলাদারকমের উন্মাদনা থাকে। এই খেলা থেকেই ক্রিকেটারদের উঠে আসার সুযোগ থাকে।

এর আগে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখন পর্যন্ত ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম হাইভোল্টেজ এই দ্বৈরথে পরিসংখ্যানটা পাকিস্তানের পক্ষে, তাদের ৩ জয়ের বিপরীতে ভারত জিতেছে ২টিতে।

তবে আইসিসির সব ইভেন্ট বিবেচনায় নিলে পরিসংখ্যানে অবস্থান ওপরে। দুই দলের মোট ২১ বারের মুখোমুখি দেখায় ভারত জিতেছে ১৭টিতে। এর মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে জয় শতভাগ (৮টি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ৮টির মধ্যে ৭টিতে জয় ভারতের। কেবল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রে পাকিস্তান এগিয়ে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তাই পাকিস্তনেও যে মরিয়া হয়ে খেলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।