ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অনুশীলন বাতিল, তবুও ঘাম ঝরালেন নাঈম

অনুশীলন বাতিল, তবুও ঘাম ঝরালেন নাঈম

টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কা জয়ের তরতাজা স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরে লিটন দাসরা জানতে পারেন একদিনও বিশ্রাম নেই। রাতটা কোনোমতে কাটিয়ে পরের দিনই অনুশীলনে নামতে হবে। কারণ আগামীকাল রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। তবে শেষ পর্যন্ত অনুশীলনটা আর হয়নি। হঠাৎ গরম বাড়ায় গতকাল শুক্রবারের অনুশীলন বাতিল করা হয়। বেলা দুইটায় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুশীলনে আসছেন না কোনো ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক মাসের বেশি সময়ের সফরের ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে বিশ্রামকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।

তবে ব্যাতিক্রম ছিলেন একজনই। কেউ না আসলেও একাই অনুশীলনে ঘাম ঝরান মোহাম্মদ নাঈম। প্রায় তিন বছর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে দলে ফিরেছিলেন। প্রথম ম্যাচে সুযোগ মিলেছিল একাদশেও। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে একাদশে ফেরার পর তার ব্যাট তেমন আলো ছড়াতে পারেনি। চারে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ২৯ বলে করেছেন ৩২ রান। বাংলাদেশ ১৫৪ রানের পুঁজি নিয়ে ৭ উইকেটে হারের পর নাঈমকে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে রাখা হয়নি। বাইরে থাকেন শেষ ম্যাচেও। নাঈমের লড়াইটা তাই বাকিদের চেয়ে একটু বেশি। সবার মতো ভ্রমণ ক্লান্তি হয়তো তারও আছে। কিন্তু একাদশে ফিরে আসার তাড়নায় নাঈম গতকাল অনুশীলনে ছুটে এসেছেন একা। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিন থ্রোয়ার। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের অনুশীলনে নাঈম ব্যাট করেছেন তাদের থ্রো করা বলে। মাঝে গরমের জন্য বিরতি দেওয়ার আগে ও পরের অনুশীলনে নাঈমের মন্ত্র একটিই-বল দেখো আর মারো। যেদিকেই বল এসেছে, নাঈম কেবল মারতে গেছেন। কখনও টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি, তবু নাঈম চালিয়ে খেলা বন্ধ করেননি। অল্প গতির থ্রোয়ারের বলে নাঈম জোরের সঙ্গে শট খেলার চেষ্টা করবেন, ব্যাপারটা নতুন নয়। তবে নিজের শট রেঞ্জ বাড়াতে আর বাউন্ডারি হাঁকাতে তার যে মরিয়া ভাব, সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে অনুশীলনে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একাদশে সুযোগ পেলে তা যেন ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন, নাঈমের চেষ্টা হয়তো সেটিই।

কেন এই অনুশীলন? সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাঈম জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত প্রয়োজন থেকেই অনুশীলন করতে এসেছেন আজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চারে ব্যাট করলেও একজন ওপেনার হিসেবেই এই প্রস্তুতি বলে মন্তব্য তার, ‘এখন পর্যন্ত যত দিন খেলেছি, ওপেনার হিসেবেই ব্যাটিং করেছি। তো ওই মানসিকতা নিয়েই (অনুশীলন) করলাম। কিন্তু মাথায় এটাও থাকে যে... এমন না যে, সেট হওয়ার পর মাঝের ওভারে খেলিনি।’ জাকের আলীর চোটের কারণে শ্রীলঙ্কায় চারে খেলার অভিজ্ঞতা জানিয়ে নাঈম বলেন, ‘হুট করে চার নম্বরে নামলে কীভাবে খেলতে হয় বা মিডল অর্ডাররা কোন চ্যালেঞ্জ বেশি মোকাবিলা করে, ওই জিনিসটা সাধারণত আমার জানা থাকে না। বাইরে থেকে অনেক সময় সহজ মনে হয়। এখন খেলে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো। পুরোপুরি ভিন্ন একটা জায়গা। সব কিছু মিলিয়ে সব জায়গার ট্রেনিংই করি। তবে এখন যেটা ছিল, পুরোপুরি নিজের প্রস্তুতির জন্যই ছিল।’

বাঁ-হাতি এ ব্যাটসম্যান বাদে বাংলাদেশ দলের বাকি ক্রিকেটাররা এদিন বিশ্রামে কাটান। রিশাদের মতো দুয়েকজনকে অবশ্য মিরপুরের একাডেমিতে দেখা গেছে। তবে তারা অনুশীলনে নামেননি।

নাঈম,টি-টোয়েন্টি,স্মৃতি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত