অনলাইন সংস্করণ
১২:৫৮, ২৯ জুলাই, ২০২৫
জাতীয় ক্রিকেট দলের গতিতারকা তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন তারই এক বন্ধু। এই অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় টাইগার পেসারের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তবে তাসকিন নিজে বলছেন এমন কিছু করেননি তিনি, তাকে বিব্রত করতেই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর ১ নম্বরে। ঘটনার পরপরই বাদী সিফাতুর রহমান সৌরভ মিরপুর মডেল থানায় একটি জিডি করার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তাসকিন জানিয়েছেন, তার সঙ্গে শত্রুতা করে থানায় জিডি করা হয়েছে। ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে পুরোটাই মিথ্যা। আমি বাসা পরিবর্তন নিয়ে ব্যস্ত। আমি ওদের মারিনি। ওরা আমার নামে মিথ্যা জিডি করে আমাকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে।’
তাসকিন পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমার বন্ধু রসি নামে একজন আছেন, ওরা আমার এই বন্ধুকে মেরেছে। তাই আমি মোহাম্মদপুর থানার ওসি সাহেবকে ফোন করেছিলাম। পুলিশ গিয়ে ওদেরকে মোহাম্মদপুরে খুঁজেছে। এজন্য হয়তো এরা উল্টো আমার নামে জিডি করেছে।’ ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে তাসকিন আরও বলেছেন, ‘ওর (সৌরভ) খালা আমার বাবাকে ফোন দিয়ে বিচার দিয়েছিল। কিছু কথা ওরা রেকর্ড করেছে।
আমার বাবা আবার ওই ঘটনার কিছুই জানতো না। উনি পরে শুনে কিছু কথা বলেছে। সাথে এটাও বলেছে, ‘ওরা ছোট বেলার বন্ধু, এক সঙ্গে মিলে মিশে থাকবে।’ আসলে গত কয় মাস ধরে ওদের সঙ্গে এখন মিশি না, তাই এখন ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
অভিযোগে বলা হয়, তাসকিন ফোন করে সৌরভকে মিরপুর ১ নম্বরে ডেকে নেন এবং সেখানে তাকে কিল-ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। এছাড়া তাকে ভয়ভীতি ও হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগকারীর দাবি। থানা সূত্র জানায়, তাসকিন ও সৌরভের মধ্যে আগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এ ব্যাপারে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, ‘সনি সিনেমা হলের সামনে গত রোববার রাতে মারধর করেছেন বলে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাসকিনের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ। তবে ফেসবুকে সবার প্রতি গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তাসকিন। তিনি লিখেছেন, ‘সবাইকে অনুরোধ, গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না।
আমি আমার ছোটবেলার বন্ধুর গায়ে হাত তুলেছি এমন একটা ঘটনায় অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে। আমার মনে হয় এমন গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না এবং অন্যকেও বিভ্রান্ত করবেন না। এটা আমার, আমার পরিবার ও আমার বন্ধুর জন্য সম্মানজনক না। যা ঘটেছে সেজন্য বন্ধু ও আমার মধ্যে কথা হয়েছে। এটা যে পর্যায়ে গেছে কোনোভাবে এমনটা হওয়ার কথা নয়। শুধু একটা কথাই বলতে চাই বিষয়টা অন্য, বাস্তবতা ভিন্ন (মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত)। আশা করি সত্য এর সাথেই থাকবেন, সত্য কখনো মিথ্যা হয় না।’ বিষয়টি নিয়ে বিসিবি পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেছেন, ‘মিডিয়াতে নিউজটা সকালে দেখলাম। আমাদের আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং ফাহিম ভাইও দেখেছে। এটা নিয়ে অলরেডি তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। এটা যদি ঘটে থাকে তাহলে সেটা খুব দুঃখজনক। আইকন প্লেয়ারের এসবে জড়ানো উচিত না। আমি এই ব্যাপারে আর মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। কী হয়েছে সেটা আগে বের হোক।’
