শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় বাংলাদেশের
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৬ | অনলাইন সংস্করণ
স্পোর্টস ডেস্ক

অনেক নাটকীয়তার পর এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় পেলো বাংলাদেশ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান। প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ সমতায় আনেন জাকের আলী। তখন ৫ বল থেকে মাত্র ১ রান প্রয়োজন। কিন্তু পরের তিন বলে আউট হয়ে যান জাকের ও শেখ মেহেদি। উত্তেজনা বাড়লেও শেষ পর্যন্ত পঞ্চম বলে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন নাসুম আহমেদ। ফলে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। তবে দলীয় ১ রানের মাথায় তানজিদ হাসান তামিম কোনো রান না করেই বিদায় নেন। পরবর্তীতে সাময়িক সেই চাপ সামলে নেন সাইফ হাসান এবং লিটন দাস। একসময় ৫০ রানের জুটিও পার করেন এই দুই ব্যাটার।
তবে দলীয় ৬০ রানে লিটন ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৩ রান করে। এরপর সাইফ একাই চার ছক্কার ইনিংস খেলতে থাকেন, তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। একসময় সাইফ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধ-শতক। তখন ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছিলেন হৃদয়। এরপর ৪৫ বলে ৬১ রান করে বিদায় নেন সাইফ।
বাংলাদেশের জার্সিতে নিজের পঞ্চাশতম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ফিল্ডিংয়ে দুবার ক্যাচ ছাড়েন তাওহীদ হৃদয়। সেই শাপ মোচন করে ফিফটি দিয়েই ম্যাচ নম্বর ফিফটি জয়ে উদযাপন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে পেরিয়েছেন হাজার রানের মাইলফলক। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ফিফটি করেছিলেন হৃদয়। ৩৭ বলে ৪ চার ও ২ ছ্ক্কায় ৫৮ রান করে আউট হন হৃদয়।
তবে ম্যাচের শেষ ওভারে আসে টানটান উত্তেজনা। শুরুতেই চার মেরে কাজটা সেরে ফেলছিলেন জাকের আলী। তাতে মনে হচ্ছিল জয়টাও বুঝি সহজেই চলে আসবে। তবে তা এল না। স্কোর সমতায় রেখে জাকের বিদায় নিলেন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। এর এক বল পর শেখ মাহেদিও যখন বিদায় নিলেন, তখন মনে হচ্ছিল ৯ বছর আগের বেঙ্গালুরুর দুঃস্বপ্ন বুঝি ফিরে আসছে দুবাইয়ে। তবে নাসুম আহমেদ সেটা হতে দেননি। একটা রান নিয়ে নিলেন। আর তাতেই বাংলাদেশ তুলে নিল ৪ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস এক জয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করে ৭৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান। ৩৭ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন দাসুন শানাকা। ৩৪ রান করেন কুশল মেন্ডিস, ২২ রান করেন পাথুম নিশাঙ্কা ও ২১ রান করেন চারিথ আশালঙ্কা।
আবা/এসআর/২৫
