অনলাইন সংস্করণ
২১:০২, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচন নিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির পক্ষ নেওয়ায় বর্তমান জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটার কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও বোর্ড নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় ক্রিকেটারদের প্রকাশ্যে অবস্থান নিতে দেখা যায় না। অথচ সম্প্রতি তাইজুল ইসলাম, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হকসহ বেশ কয়েকজন রানিং ক্রিকেটারকে পক্ষপাতমূলক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এটি শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং বিসিবির চুক্তি ও আচরণবিধিরও লঙ্ঘন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক। এটা কন্ট্রাক্টের সম্পূর্ণ ভায়োলেশন। যারা এগুলো করাচ্ছেন তাদের শেইম ফিল করা উচিত।”
নির্বাচন নিয়ে সরগরম ক্রিকেটপাড়া
অক্টোবরে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকে ঘিরে ক্রিকেটাঙ্গনে তুমুল আলোচনা চলছে। বিশেষ করে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বাধীন গ্রুপের অভিযোগ ছিল—বর্তমান বোর্ড পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠুর ক্লাবসহ ১৫টি ক্লাবকে কাউন্সিলর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তবে নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাই শেষে ওই ১৫টি ক্লাবসহ সিলেট, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁ—এই পাঁচ জেলার কাউন্সিলরশিপ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেবল নরসিংদীর কাউন্সিলরশিপ শূন্য রাখা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “শুধু কাউন্সিলর হিসেবে ভোট দেওয়ার জন্য এমন ক্লাব রাখার কোনো মানে নেই।”
এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমজমাট
বিসিবি নির্বাচন সবসময়ই সমালোচিত হলেও এবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা একেবারেই ভিন্ন হবে বলে মনে করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আগের নির্বাচন কী হতো? একজন সভাপতি হবে, প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন তার জন্যই সব আয়োজন হতো। এবার তো সেরকম না। এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এখানে দুইজনেরই পাল্লা যথেষ্ট ভারী।”
ইসির প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। ফলে এবারের নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।