বিসিবি নির্বাচনে কোনো বাধা নেই, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠি নিয়ে হাইকোর্টের পূর্ববর্তী আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। ফলে নির্বাচন আয়োজনের পথে আর কোনো আইনগত বাধা নেই।

২২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টে আবেদন করলে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত সেই দিনই হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আজ রোববার এই আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

চিঠি চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। বিসিবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহিন এম রহমান।

বিসিবির আইনজীবী মাহিন এম রহমান জানিয়েছেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত থাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে আপাতত কোনো বাধা নেই।

তিনি বলেন, “চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং কোনো বাধা নেই।”

গত ২১ সেপ্টেম্বর বিসিবি নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারিত হয়েছে ৬ অক্টোবর। বিসিবির গঠনতন্ত্রে বলা আছে, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে একজন সাবেক খেলোয়াড় বা ক্রীড়া সংগঠককে কাউন্সিলার করতে হবে। মনোনীত কাউন্সিলাররা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলার মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১৭ সেপ্টেম্বর তা শেষ হয়। জেলার ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে মনোনীত কাউন্সিলারদের মধ্যে বেশিরভাগ সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।

তবে ১৮ সেপ্টেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের চিঠিতে জানানো হয়, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের মধ্যে কাউন্সিলার মনোনয়নের নিয়ম যথাযথভাবে মানা হয়নি। তাই নতুন ফরম পূরণ করে ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পুনরায় নাম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

চিঠির কার্যকারিতা চ্যালেঞ্জ করে রাজবাড়ির মঞ্জুরুল আলম, গোপালগঞ্জের জসিম উদ্দিন খসরু, লক্ষ্মীপুরের মঈনুদ্দিন চৌধুরী ও টাঙ্গাইলের আলী ইমাম হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্টের বেঞ্চ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ রুলসহ আদেশ দেন এবং চিঠি কার্যকরী হওয়ার ১৫ দিনের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।

ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই রাষ্ট্রপক্ষ স্থগিতাদেশের আবেদন করলে আদালত শুনানি মুলতবি রেখে স্থগিতাদেশ দেন। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার শুনানি শেষে স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আইনজীবীরা জানান, ওইদিন ফের আবেদনটি শুনানি হবে।