নির্বাচন বয়কট ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: বিসিবি সভাপতি

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:০৭ | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আগামীকাল (সোমবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে থেকেই এই প্রক্রিয়া ঘিরে চলছে নানা বিতর্ক ও আলোচনার ঝড়। ইতোমধ্যেই ঢাকার বেশিরভাগ ক্লাবের কাউন্সিলররা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

তাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও, যিনি বিসিবির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন।

নির্বাচনের ঠিক আগের দিন, রোববার বিসিবি ভবনে হাজির হন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন যারা বয়কট করেছেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

বুলবুল বলেন, “যারা এখানে আসছে না বা বয়কট করেছে, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে যাচ্ছি। এর বাইরে কোনো কথা বলব না।”

বিসিবি নির্বাচনে ক্রীড়া উপদেষ্টার সহযোগিতায় এগোচ্ছেন— এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার ঠিক মনে নেই, কবে আমি বলেছি ক্রীড়া উপদেষ্টা আমাকে অনুরোধ করেছেন বা সহযোগিতা করেছেন। আমি যে সময়সীমার মধ্যে কাজ করেছি, তার মধ্যে কোনো প্রভাব খাটানোর বিষয় দেখিনি।”

চার মাস ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা বুলবুল জানান, ক্রীড়া উপদেষ্টা তাকে সরাসরি সহায়তা করেননি বরং সুষ্ঠু নির্বাচন ও একটি কার্যকর বোর্ড গঠনে উৎসাহ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “তাকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই কারণ তিনি একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার মানুষ। আমি জানি তিনি রাজশাহীতে গিয়েছেন। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, তিনি চেয়েছেন যেন ভালো বোর্ড তৈরি করতে পারি। আমার কাছে প্রভাব খাটানোর কিছু মনে হয়নি।”

দেশের ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানান বুলবুল। তার ভাষায়, “আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থে আমাকে চালিয়ে যেতে হবে। যারা আমাকে ভোট দিচ্ছেন বা দেবেন না, কিংবা মনে করেন আমি যোগ্য নই, আমি যেকোনো সময় সরে যেতে প্রস্তুত। তবে আমার লক্ষ্য একটাই—বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়ন।”

বিসিবির চলমান নির্বাচনে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে পরবর্তীতে সভাপতি পদেও লড়বেন।