ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৪ রানে জিতল বাংলাদেশ
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ

ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি বাংলাদেশ। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ প্রথম ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করে টাইগাররা। মিরপুরের কালো পিচে বেশ সংগ্রাম করে ২০৭ রানের সংগ্রহ গড়ে মেহেদি মিরাজের দল। তবে ছোট সংগ্রহেই জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা। রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে ক্যারিবীয়রা ১৩৩ রানে অল আউট হলে ৭৪ রানের জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশের দেওয়া ২০৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। টাইগার ব্যাটাররা যেখানে পুরো ইনিংসেই সংগ্রাম করেছেন সেখানে দুই ক্যারিবীয় ওপেনার মিলে গড়েন ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে ব্র্যান্ডন কিং ও অলিক আথানেজের জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন।
৩৬ বলে ২৭ রান করে রিশাদের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে আউট হন আথানেজ। ক্যারিবীয়দের শুরুটা ভালো হলেও ধস নামতে সময় লাগেনি। রিশাদের ঘূর্ণিতে মুহূর্তেই গুড়িয়ে যায় টপ অর্ডার।
ক্যারিবীয়দের প্রথম ৫ ব্যাটারকেই আজ আউট করেছেন রিশাদ। আথানেজ ফেরার পর একে বিদায় নেন কিসি কার্টি, কিং, শেরফান রাদারফোর্ড, রোস্টন চেজরা। গুদাকেশ মোতিকে ফেরান মিরাজ। এক পর্যায়ে ক্যারিবীয়দের ১০০ রানে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের আশা ফেরায় টাইগাররা।
দলীয় ১১৮ রানে তানভীর ইসলামের বলে আউট হন ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপ। এরপর রমারিও শেফার্ডরাও দ্রুতই ফিরলে
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ২০৭ রান করে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। আজ ওপেনিংয়ে সাইফ হাসানের সঙ্গীও ছিলেন তিনিই। তবে এ দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে ৮ রানের বেশি স্কোরবোর্ডে ওঠেনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন সাইফ।দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে রোমারিও শেফার্ড সাজঘরে ফেরান সাইফকে। আউট হওয়ার আগে তিনি ৬ বলে ৩ রান করেন।
এদিকে সাইফ ফেরার পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরেন আরেক ওপেনার সৌম্যও। একটি চার হাঁকিয়ে ভালো কিছুর আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত আর তা হয়নি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন সৌম্য। ফেরার আগে করেন ৬ বলে ৪ চার।
এ দুজন ফেরার পর ক্রিজে নাজমুল শান্তর সঙ্গী হন হৃদয়। দুজন মিলে জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামলে নেন। মিরপুরের কালো পিচে ক্যারিবীয় বোলারদের সামলে স্কোরবোর্ডে রান তোলা কঠিনই হয়ে পড়েছিল এ দুজনের জন্য। তবে দেখেশুনে খেলে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন এ দুজন।
শান্ত-হৃদয় মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৭১ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৩২ রানে সাজঘরে ফিরেন শান্ত। তবে শান্ত ফিরলেও লড়েছেন হৃদয়। এরপর অঙ্কণের সঙ্গে তিনি গড়েছিলেন ৩৬ রানের জুটি। ৮৭ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পান হৃদয়।
তবে ফিফটির পর আর নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে হোপের মুঠোবন্দী হয়ে আউট হন তিনি।
এরপর দলের হাল ধরেন অঙ্কণ। মিরাজের সঙ্গে তিনি গড়েন ৪৩ রানের জুটি। ২৭ বলে ১৭ রান করে মিরাজ ফিরলেও অঙ্কণ ছিলেন ফিফতির পথে। যদিও প্রথম ওয়ানডেতেই ফিফটির দেখা পাননি তিনি। ৪৬ রান করে ফিরতে হয় তাঁকে। এরপর শেষদিকে ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন রিশাদ হোসেন। তার ১২ বলে ২৬ রানের ইনিংসের সুবাদেই শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত ৪৯.৪ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে ২০৭ রানের সংগ্রহ গড়তে সক্ষম হয় মেহেদী মিরাজের দল।
