বড় জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২০:২২ | অনলাইন সংস্করণ

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দারুণ ব্যাটিং ও শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
প্রথম ওয়ানডে জিতে সিরিজে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে নাটকীয়ভাবে সুপার ওভারে হেরে যায় টাইগাররা। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সেই হার ভুলে ব্যাটে-বলে আধিপত্য বিস্তার করে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
আজ টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন সৌম্য সরকার। ইনিংসের শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দেন ওপেনার সাইফ হাসান, যিনি ৮০ রান করেন ৭২ বলে। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন মিলে ১৭৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে শক্ত ভিত উপহার দেন। এটি ছিল ওয়ানডেতে সাইফের প্রথম হাফসেঞ্চুরি এবং সৌম্যের ১৪তম ফিফটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রোস্টন চেজ ও আকিল হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০ ওভার এক বল খেলেই ১১৭ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা। বাংলাদেশের স্পিনাররা ছিলেন ভয়ঙ্কর। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৩ উইকেট নিয়ে শুরুতেই ক্যারিবীয়দের বিপর্যয় ডেকে আনেন। তার পাশাপাশি ৩টি উইকেট পান লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও তানভির ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দশ নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন আকিল হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে জাস্টিন গ্রিভসের ব্যাট থেকে—তিনি করেন ২১। দলের সিনিয়র ব্যাটার শাই হোপ ১৬ বলে ৪ রান করে ফেরেন, তানভির ইসলামের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে।
বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা শুরু থেকেই ব্যর্থ। নাসুমের ঘূর্ণিতে একে একে ফিরেছেন আলিক আথানজে, আকিম অগাস্টে ও ব্রেন্ডন কিং। ১৭ বলে ১৮ রান করেই বোল্ড হন কিং। তাতে ক্যারিবীয়দের ইনিংস ভেঙে পড়ে একেবারে শুরুতেই।
এর আগে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের ওপেনাররা দেখিয়েছেন দাপট। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাইফের দুটি চার ও সৌম্যের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৪৬ বলেই পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে উদ্বোধনী জুটি। স্পিনাররা কোনো প্রভাব ফেলতে না পারায় শাই হোপ দশম ওভারে পেসার জাস্টিন গ্রিভসকে আক্রমণে আনেন, কিন্তু তিনিও কোনো সাফল্য পাননি।
দুজনই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন, কিন্তু সাইফ ৭২ বলে ৮০ রানে আউট হন রোস্টন চেজের বলে, আর সৌম্য থামেন ৮৬ বলে ৯১ রানে। এরপর মিডল অর্ডারে রান তোলায় ব্যর্থ হন তাওহিদ হৃদয় (২৮), শান্ত (৪৪) ও রিশাদ (৩)। শেষদিকে নুরুল হাসান সোহান ৮ বলে অপরাজিত ১৬ রান করে দলের স্কোর ২৯৬-এ পৌঁছে দেন।
শেষ ম্যাচে এই জয় শুধু সিরিজই এনে দেয়নি, বরং তরুণদের আত্মবিশ্বাসও ফিরিয়ে দিয়েছে। সাইফ ও সৌম্যের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে দশ বছর আগের রেকর্ড।
