এশিয়ান আর্চারির পর্দা উঠছে আজ, পদকে চোখ বাংলাদেশের
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২২ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

তীর-ধনুকের লড়াইয়ে শামিল হতে এশিয়ার ৩০ দেশের আর্চাররা এখন ঢাকায়। এবার শেষ হতে চলেছে অপেক্ষার প্রহরও। আজ পর্দা উঠছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের।
রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড মিলিয়ে ১০ ইভেন্টের পদকের লড়াইয়ে ২০৯ জন আর্চার অংশ নিচ্ছেন। রিকার্ভে ৫৪ জন এবং কম্পাউন্ডে ৩৮ জন মিলিয়ে মোট ৯২ জন। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম ও বনানী আর্মি স্টেডিয়ামণ্ড এই দুই ভেন্যুতে হচ্ছে প্রতিযোগিতা। তবে আজ প্রথম দিনে আর্চাররা আনুষ্ঠানিক অনুশীলন করবেন জাতীয় স্টেডিয়ামে। অন্যদিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে হবে এশিয়ান আর্চারির কংগ্রেস।
তৃতীয়বারের মতো এই আসরের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে এবার তীর ধনুকের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে ফেবারিট দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও চীনসহ অন্য দেশের সঙ্গে। যদিও বৈশ্বিক এই আসরে কখনওই বাংলাদেশ সোনার পদক জিততে পারেনি। তারপরও এবার সেই আকাঙ্ক্ষা ঘুচানোর পালা। স্বাগতিকদের চোখ অবশ্য থাকবে নিজেদের তারকা আবদুর রহমান আলিফ, সাগর ইসলাম, বন্যা আক্তারদের দিকে।
২০২১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই আসরে একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তিনটি পদকই ছিল দলগত ইভেন্ট থেকে পাওয়া। রিকার্ভ মিশ্র থেকে এসেছিল রুপার পদক। ২০২৩ সালের সবশেষ থাইল্যান্ডের আসরে অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হয় দলকে। এবার সে হতাশার বলয় থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনতে চান আর্চাররা।
রিকার্ভ ইভেন্টের সাগর ইসলাম (আর্চারির র্যাংকিংয়ে ৭৫তম) বলেন, ‘আমাদের দেশের মাঠে এবারের প্রতিযোগিতা। স্বাভাবিকভাবে অনেক কিছু আমাদের পক্ষে থাকবে। এখানকার সবকিছুই আমাদের জানা। এই প্রতিযোগিতার জন্য আমরা বছরজুড়ে ক্যাম্পে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আশা করি, পরিশ্রমের ফল আমরা পাবো। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো।’
রিকার্ভ ইভেন্টের আর্চার আব্দুর রহমান আলিফের (আর্চারির র্যাংকিংয়ে ৭১তম) কথা, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ভালো মানের আর্চার এসেছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত থেকে এসেছে অনেকে। অভিজ্ঞতায় তারা হয়ত এগিয়ে থাকবে, তবে আমাদেরও আত্মবিশ্বাস আছে দেশকে ভালো কিছু এনে দেওয়ার। আর্চারি একটি নির্দিষ্ট দিনের খেলা, র্যাংকিংয়ে অবস্থান যা-ই হোক না কেন, যে সেরাটা মেলে ধরতে পারবে, সেই সেরা হবে।’
কোচ মার্টিন ফ্রেডরিকও আশাবাদী, ‘আর্চারদের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। ব্যাংককের গত আসরে আমরা কোনও পদক পাইনি। এ নিয়ে হতাশা আছে ওদের মধ্যে। এবার ভালো ফল করতে ওরা উন্মুখ হয়ে আছে।’
বাংলাদেশের আলিফ, সাগর, ভারতের ধীরাজ বোম্মাডেভারা, আতানু দাস, দীপিকা কুমারী, দক্ষিণ কোরিয়ার সিও মিনগি, কিম ইয়াচেন, কিংবা ইরাকের ফাতিমা আলমাশদানি নাকি নতুন অচেনা কেউ বাজিমাত করবেন, সেদিকে চোখ থাকবে এশিয়ার আর্চারিপ্রেমীদের।
