ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

৩৬৭ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

৩৬৭ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে চারপাশ যখন কেঁপে উঠল, তখন মিরপুর স্টেডিয়ামেও খেলা থমকে গেল। তিন মিনিট ধরে খেলা বন্ধ, ক্রিকেটাররা মাঝমাঠে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসতে দেখছেন। অস্বস্তিকর এই মুহূর্ত পেরিয়েই এল দিনের সবচেয়ে বড় খবর- তাইজুল ইসলাম ছুঁয়ে ফেললেন সাকিব আল হাসানের টেস্টের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড।

ভূমিকম্পের পর খেলা পুনরায় শুরু হতেই তাইজুলের ঘূর্ণিতে আইরিশদের প্রথম ইনিংস থামে ২৬৫ রানে। চার উইকেট তুলে নিয়ে তিনি নিজের উইকেটসংখ্যা দাঁড় করালেন ২৪৬-এ। সাকিবের সঙ্গে এখন যুগ্মভাবে শীর্ষে তিনি। এরপর আইরিশরা অল আউট হলে ফলোঅনের সুযোগ থাকলেও তা না করে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামে। দিন শেষে ১ উইকেটে ১৫৬ রান তুলে টাইগাররা এগিয়ে যায় বিশাল ৩৬৭ রানে। সাদমান ইসলাম ৬৯* এবং মুমিনুল হক ১৯* নিয়ে দিন শেষ করেন।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ছিল চোখে পড়ার মতো। মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান গড়লেন ১১৯ রানের ওপেনিং জুটি। এক সিরিজে বাংলাদেশের ওপেনারদের দুই শতরানের পার্টনারশিপ। এমন ঘটনা এর আগে ঘটেছে মাত্র একবার, ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে।

সাদমান-জয়ের উদ্বোধনী জুটি গ্যাভিন হোই এসে ভাঙেন। তাঁর লেগস্পিনে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন জয়। ৬০ রানের ইনিংসটি তিনি খেলেছেন ৯১ বলে, ছয়টি বাউন্ডারি মেরে। যদিও এর আগে কয়েকবার আউট হতে পারতেন, তবে জীবন পেয়ে সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন।

এর আগে দিনের শুরুতে আইরিশরা ছিল কঠিন অবস্থানে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৪৭৬, আইরিশরা তৃতীয় দিনে খেলতে নামে ৫ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে। কিন্তু লোরকান টাকার আইরিশদের আশা জিইয়ে রাখেন। অপরাজিত ৭৫ রানে খেলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে স্টিফেন ডোহেনির ৮১ রানের জুটি এবং জর্ডান নিলের সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি আইরিশ ইনিংসকে টেনে তোলে।

সকালের সেশনেও টাকার ও ডোহেনি দুজনই বেশ স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন, নিয়মিত বাউন্ডারি আসছিল। ঠিক তখনই তাইজুলের ঘূর্ণির ঝলক। ডোহেনিকে (৪৬) দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তিনি। পরের বলেই আন্ডি ম্যাকব্রিনকে ঘূর্ণিতে ফেলে বোল্ড- দুটি উইকেটে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ।

এতে একটু দমে গেলেও নিল লড়াই চালিয়ে যান। ৯ চার মেরে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে এবাদতের একটি শর্ট বলে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। এরপর আইরিশদের বাকি ব্যাটাররা বেশি প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। খালেদের বলে হোই মাত্র ৪ রানে আউট, আর রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে তাইজুলের ঘূর্ণিতে পয়েন্টে ধরা পড়েন হামফ্রিজ।

দিনের শেষে বাংলাদেশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। তাইজুলের রেকর্ড, ওপেনারদের দারুণ ছন্দ, আর লিডের পাহাড়- সব মিলিয়ে ম্যাচ এখন একদম টাইগারদের অনুকূলে।

বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত