অনলাইন সংস্করণ
১৬:৩৪, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
কোপা বলিভিয়া কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচে ঘটেছে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা। বলিভিয়ান দল ব্লুমিং এবং রিয়াল ওরুরোর ম্যাচ শেষে মাঠে দুই দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে রেফারি মোট ১৭ জনকে লাল কার্ড দেখিয়ে বহিষ্কার করেন।
বুধবার অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ব্লুমিং সেমিফাইনালে ওঠে। কিন্তু ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে আসে শেষ বাঁশির পরের সহিংস দৃশ্য, যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠের এক পাশে জড়ো হয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। কিছু খেলোয়াড় ও স্টাফ ঘুষি ছোড়া শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করতে বাধ্য হয়।
বলিভিয়ান গণমাধ্যম ‘এল পোতোসি’ জানায়, ওরুরোর তারকা সেবাস্তিয়ান জেবায়োসকে প্রথমে ব্লুমিং খেলোয়াড়রা থামালেও পরে তিনি আবার মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। তার সতীর্থ হুলিও ভিলার ঘুষি মারার ঘটনাতেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়।
ওরুরো কোচ মার্সেলো রোব্লেদো আরেকজন কোচের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যান। পুরো মাঠে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ২০ জন পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।
এসময় ব্লুমিং কোচ মৌরিসিও সোরিয়া তড়িঘড়ি করে তার খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমে নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
ম্যাচ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্লুমিংয়ের সাতজন এবং ওরুরোর চারজন খেলোয়াড়কে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয়। বাকি যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন, তারা দুই দলের কোচিং স্টাফের সদস্য। ব্লুমিং ফরোয়ার্ড সিজার মেনাচোকে ম্যাচ শুরুর আগেই আপত্তিকর ভাষা ব্যবহারের কারণে লাল কার্ড দেখানো হয়েছিল।
মারামারিতে ওরুরো কোচ রোব্লেদো কাঁধে আঘাত ও মাথায় চোট পাওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ব্লুমিংয়ের এক কর্মকর্তা সংঘর্ষের সময় চোয়াল ভেঙে গুরুতর আহত হন। এই সহিংস ঘটনার পর বলিভিয়ান ফুটবলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।