নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা ও পৌরসভা যুবদলের নবগঠিত পকেট কমিটির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমকে কমিটি বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড অবহিত করে হাতিয়াতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ওছখালী শহরে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা নবগঠিত পকেট কমিটি বাতিল করে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন—হাতিয়া উপজেলা যুবদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম আমির, সদ্য সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শাহীন, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নুর ইসলাম সুমন, হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের বিদায়ী সদস্য সচিব মোছলেহ উদ্দিন, পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ আজাদসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই, অযোগ্য ও অনুগত কিছু লোক দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে, তারা গত ১৭ বছর দলের কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিল না এবং কমিটিতে পদপ্রত্যাশীও ছিলেন না।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি দ্রুত এই কমিটি বাতিল করে নতুন করে যোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠন না করা হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
এদিকে, একই দিন বেলা ১২টার দিকে নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন ও সদস্য সচিব ফাহিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পাল্টা মিছিল বের করেন শামীমের অনুসারীরা। তারা দাবি করেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর বলেন, “বিষয়টি হালকা শুনেছি, তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি।”
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ (মঙ্গলবার) কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হাতিয়া উপজেলা ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে মো. ইসমাইল হোসেন ইলিয়াসকে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও ফাহিম উদ্দিনকে সদস্য সচিব করা হয়। অন্যদিকে, পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক হন মোমিন উল্যাহ রাসেল এবং সদস্য সচিব হন কাউসার মোস্তফা।