চাঁদপুরে বন্ধুদের সাথে মিলে ডাকাতিয়া নদীতে গোসলে নেমে সৌম্যজিৎ সরকার আপন (১৬) নামে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছেন। খবর পেয়ে উদ্ধারে নেমে এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পায়নি ডুবুরি দল
রোববার রাত ৮টায় এ তথ্য জানিয়েছেন নৌ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের ইনচার্জ আলী আহম্মদ। এর আগে দুপুরে গুনরাজদী ডাকাতিয়া নদীতে ৩/৪ জন বন্ধুদের সাথে নেমে সৌম্যজিৎ সরকার আপন নিখোঁজ হওয়ার খবর পায় তার পরিবার।
নিখোঁজ সৌম্যজিৎ সরকার আপন হচ্ছেন চাঁদপুর শহরের মিশন রোডের শান্তা রানী সরকার ও মানিক রঞ্জন সরকারের ছেলে। তার বাবা হাজীগঞ্জে বেনাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক। আপনের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি ছোট বোন রয়েছে।
এ বিষয়ে সৌম্যজিতের কাকাতো ভাই সুমন সরকার জানান, আপন পুরান বাজার ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শেষ করে বাসায় ফিরলে তাকে তার বন্ধুরা নদীতে গোসল করতে ডেকে নিয়ে যায়। যদিও শুনেছি ওখানে তার অন্যান্য বন্ধুদের আসার কথা থাকলেও অনেকে আসেনি। পরে আপনসহ তার অন্য বন্ধুরা নদীতে নামলেও ওর অন্য বন্ধুরা উপরে উঠে এলেও আপন আর উঠে আসেনি। এখন ওর বন্ধুরা বলছে নদীতে নামার পর সামনে দিয়ে একটা বলগেট যাওয়ার পর সেটার সাথে হয়ত ধাক্কা খেয়ে আপন ডুবে যায়। এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি।
সৌম্যজিতের মামাতো ভাই অনিক চন্দ জানান, আপন এর আগে কখনো নদীতে নেমেছে কিনা বলতে পারছি না। এখন বন্ধুদের সাথে কেনো নামতে গেলো বা অন্য কোন ঘটনা আছে কিনা বুজতে পারছি না। আপনের কোন শত্রু নেই এবং সে খুব ভালো ছেলে। এখন আপন যদি ডুবে মারা যায় অন্তত তার মরদেহটা তো পাবো? কিন্তু সেটাও পাচ্ছি না। আমরা এখনও থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাইনি তবে জানাবো বলে ভাবছি।
চাঁদপুরের নৌ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের ইনচার্জ আলী আহম্মদ বলেন, ডাকাতিয়া নদীর ওই স্থান দিয়ে এপার থেকে ওপার সাঁতরিয়ে যাবার সময় নদীতে গোসল করতে নেমে আপন নামে এক শিক্ষার্থী নদীতে ডুবে যাওয়ার খবর পাই। এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালাই। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে আজকের মতো কার্যক্রম স্থগিত করি। পরবর্তীতে উর্দ্ধতনের নির্দেশনা পেলে আবারও হয়ত নদীতে যেতে পারি।
এদিকে নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা ঘটনা জানতে পেরে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়ে বাবা-মায়ের আহাজারিতে এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।