পাবনার ঈশ্বরদীতে ফের শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সূর্যের জ্বলন্ত রশ্মিতে যেন টগবগে আগুন ঝরছে। নিজের উত্তাপ শক্তিমত্তা জানান দিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না শহর, গ্রাম, পথ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক সবখানেই সূর্যের খরতা! পিচঢালা পথ যেন জ্বলন্ত উনন! জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এ জীবন যেন ওষ্ঠাগত! তাপমাত্রার কাঁটা তীব্র তাপপ্রবাহ ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার ( ১০ মে ) বিকেল তিনটায় ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। গতকাল শুক্রবার (৯ মে ) বিকেল তিনটায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে দিন বৃহস্পতিবার (৮ মে ) বিকেল তিনটায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমীর ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় ঈশ্বরদীতে তেতে উঠেছে প্রাণিকুলও। বাতাসেও আগুনের ছটা। এরআগে গত ২৮ মার্চ মৌসুমের প্রথম তাপপ্রবাহ ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড হলেও ছিল না সূর্যের প্রখরতা।
অন্যদিকে অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে পরিবর্তন এসেছে মানুষের জীবনযাত্রায়। প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও শ্রমজীবী মানুষের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। পেটের টানে বাইরে বের হতেই হয়। কাজের তাগিদে বাইরে বেরিয়ে তীব্র গরমে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় শহরে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের সংখ্যাও কম।
এই তাপমাত্রায় ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতালের উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার কৃষিবিদ মোছা: আকলিমা খাতুন শনিবার বিপদ সংকেত তাপমাত্রায় পোল্ট্রি খামারিদের উদ্দেশ্যে সচেতনতা করে জানান , আগামী তিন থেকে পাঁচ দিন তাপ প্রবাহ চলবে যা মুরগির জন্য বিপজ্জনক। প্রচণ্ড গরমে মুরগি স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে। তাই মুরগির ঠান্ডা রাখতে ফগার কুলিং স্প্রে, ফ্যান বা নরমাল স্প্রে মেশিন দিয়ে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সেডের ভিতর প্রতি এক ঘণ্টা পর পর পানি স্প্রে করুন। পানিতে ভিটামিন সি এবং ইলেক্ট্রোলাইট দিতে হবে। এ ছাড়াও প্রচণ্ড গরমের সময় দানাদার খাদ্য বন্ধ রাখতে হবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহেদুল শাহরিয়ার শিশির জানান, তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠান্ডাজাতীয় পানীয় বিশেষ করে-লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে। এ সময় তাপ এড়িয়ে ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।’