সাম্প্রতিক রাতের ঝড়-বৃষ্টি ও সড়ক পিচ্ছিল থাকার কারণে রংপুর অঞ্চলের মহাসড়কে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশের দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম জনমনে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
গত রোববার (১ জুন) রাত তিনটার দিকে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের তারাগঞ্জ বাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এতে অন্তত ৭-৮ জন যাত্রী আহত হন। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। গুরুতর আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য পুলিশ সুপারের নির্দেশে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সও পাঠানো হয়।
দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট যানজট নিরসনে দ্রুত রেকার এনে বাসটি সরানো হয়। পাশাপাশি সুস্থ যাত্রীদের অন্য বাসে গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থাও করে হাইওয়ে পুলিশ।
আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে সোমবার (২ জুন) মধ্যরাতে বড়দরগা হাইওয়ে থানার মাদারহাট এলাকায়। সেখানে একটি গরু বোঝাই ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-১২-১০৯৫) পেছনে একটি ধানবোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১২-২০৪৬) ধাক্কা দিলে গরু বোঝাই ট্রাকটি আইল্যান্ডে উঠে যায় এবং দুই চালক-হেলপারসহ তিনজন সামান্য আহত হন। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে রেকারের সাহায্যে ট্রাকগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। দুর্ঘটনায় দুটি গরুও সামান্য আহত হয়; উদ্ধার করে তা মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, “হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে দুর্ঘটনা এবং অপরাধ প্রতিরোধে তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে একই সাথে যেকোনো দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে হাইওয়ে পুলিশকে উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের এই তৎপরতা ভবিষ্যতে আরো বাড়বে ইনশাআল্লাহ”