ঢাকা রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চাহিদা মেটাচ্ছে গাইবান্ধার লাল মরিচ

চাহিদা মেটাচ্ছে গাইবান্ধার লাল মরিচ

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলে উৎপাদিত লাল শুকনো মরিচ দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণ করছে। বিশেষ করে ফুলছড়ি হাটে সপ্তাহে দুই দিন—শনিবার ও মঙ্গলবার—চলছে কোটি টাকার মরিচ বেচাকেনা। এ হাট এখন দেশের অন্যতম বৃহত্তম শুকনো মরিচের বাজার হিসেবে পরিচিত।

জানা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার টেংরাকান্দি, মোল্লারচর, খোলাবাড়ি, ফজলুপুর, উড়িয়া, এরেন্ডবাড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জসহ পাশ্ববর্তী জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও বকশিগঞ্জের চরাঞ্চল থেকে নৌকা ও ঘোড়ার গাড়িতে করে মরিচ নিয়ে আসেন কৃষক ও পাইকাররা। হাটে মরিচ উঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় হাঁকডাক আর ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যস্ততা। প্রতিটি হাটে প্রায় তিন হাজার মণ শুকনো মরিচ বিক্রি হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৩ কোটি টাকা।

কৃষকরা জানান, এ এলাকার মাটি ও আবহাওয়ার উপযোগীতা থাকায় কম সারে বেশি ফলন হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পলিমাটিতে বীজ ছিটিয়ে কিছু পরিচর্যাতেই বিঘা প্রতি ১০–১২ মণ মরিচ উৎপাদন সম্ভব হয়। চরের মাটির গুণে মরিচের রং উজ্জ্বল ও আকার বড় হয় বলে এর কদর বেশি। প্রতি মণ শুকনো মরিচ ৯,০০০–৯,৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ৪–৫ হাজার টাকা কম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুড়া, নওগাঁ, দিনাজপুর, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এ হাটে এসে মরিচ কিনছেন। স্কয়ার, প্রাণসহ নামকরা শিল্পগ্রুপের প্রতিনিধিরাও নিয়মিত এই হাট থেকে মরিচ সংগ্রহ করেন।

তবে হাটে অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন জেলার পাইকাররা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ওয়াশরুম, ও আবাসনের সুবিধা না থাকায় রাতে এসে থাকতে হয় সমস্যার মধ্যে।

তারা বলেন, এসব সমস্যা সমাধান হলে এই ঐতিহ্যবাহী হাটে আরও পাইকার আসবেন, মরিচের বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে।

গাইবান্ধা,লাল মরিচ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত