শেষ কবে ফুটবল ঘিরে বাংলাদেশে এমন উৎসব দেখা গেছে—তা যেন মনে করতে পারছে না কেউ। দুপুর আড়াইটায় স্টেডিয়ামের গেট খুলতেই শুরু হয় দর্শকদের ঢল। মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই ৯০ শতাংশ গ্যালারি ভরে ওঠে। প্রবেশের দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষমাণ দর্শকদের দেখে ধারণা করা যায়, কোনো আসন খালি থাকবে না—যেমনটা হয়েছিল ৪ জুন ভুটান ম্যাচেও।
বিকেলে এক দফা বৃষ্টিও থামাতে পারেনি ফুটবলপ্রেমীদের উৎসাহ। কেউ ভিজে গ্যালারিতে, কেউ গেটে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজেও হাসিমুখে অপেক্ষায়। সবার লক্ষ্য একটাই—সন্ধ্যা ৭টার ম্যাচটি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করা।
স্টেডিয়াম চত্বরে উৎসব শুরু হয় দুপুর থেকেই। ‘বাংলাদেশ! বাংলাদেশ!’ স্লোগানে মুখরিত ছিল চারপাশ। হামজা চৌধুরী আর শামিতের নামও ছড়িয়ে পড়েছিল দর্শকদের মুখে মুখে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আয়োজনে গান, বিনোদন আর সরাসরি পারফরম্যান্সে মাঠের বাইরে তৈরি হয় এক প্রাণবন্ত পরিবেশ। মুজা, জেফার, সাঞ্চায়রা গানে মাতান দর্শকদের।
৫৫ মাস পর এই স্টেডিয়ামে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল। স্মরণীয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (২০০৩), কোটি টাকার সুপার কাপ (২০১১), এবং অস্ট্রেলিয়া ও কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের স্মৃতি থাকলেও এবারকার আবহ ছিল ভিন্ন।
কারণ, নতুন সাজে স্টেডিয়ামের প্রত্যাবর্তন, জাতীয় দলে প্রবাসী ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্তি এবং দর্শকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার মিলনে আজকের বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে এক অনন্য উৎসব—যা শুধু খেলাই নয়, ফুটবলপ্রেমীদের আবেগ আর ভালোবাসারও প্রতিচ্ছবি।