কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ি সীমান্তে ১৪ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা চালায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধার মুখে পড়ে উভয় বাহিনীর মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোররাত আনুমানিক ৪টার দিকে বড়াইবাড়ি সীমান্তের ১০৬৭ নম্বর সীমানা পিলারের কাছে নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায়।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, বিএসএফ গভীর রাতে ৯ জন পুরুষ ও ৫ জন নারীকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি তা বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হলেও বিএসএফ এখনো কোনো সাড়া দেয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম, ময়জুদ্দিন ও নুরুল হক জানান, পুশইনের সময় বাধা দিলে সকাল ৬টার দিকে বিএসএফ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
পুশইন করতে চাওয়া ব্যক্তিরা ভারতের বান্দরবান জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা বর্তমানে স্থানীয়দের সহায়তায় সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
এ বিষয়ে জামালপুর ব্যাটালিয়নের ৩৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত অ্যাডজুট্যান্ট শামসুল হক বলেন, “বিএসএফ অবৈধভাবে পুশইনের চেষ্টা করলে বিজিবি বাধা দেয়। পুশইনের শিকার ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক তা এখনও নিশ্চিত নয়। তারা নোম্যান্সল্যান্ডেই অবস্থান করছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”