দিনাজপুরের বীরগঞ্জের একতা ক্লিনিকে ভুল অপারেশনের কারণে আশা রানী রায় (১৯) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে সদ্যোজাত কন্যা সন্তানটি সুস্থ রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই চিকিৎসকসহ ক্লিনিক স্টাফ পালিয়ে গেছেন।
আশা রানী রায় সুজালপুর ইউনিয়নের জগদল গ্রামের হৃদয় চন্দ্র রায় এর স্ত্রী।
গত শুক্রবার (২০ জুন) দুপুর ১২টায় প্রসববেদনা নিয়ে আশা রানী রায়-কে একতা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর বিকেল ৫টায় দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. ইয়াসমিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন প্রয়োজন। বিকেল ৫টায় সিজারের মাধ্যমে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। অপারেশন করেছিলেন ডা. ইয়াসমিন। কিন্তু অপারেশনের পর রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবারের দাবি ক্লিনিকেই তার মৃত্যু হয়। আশা রানী রায়ের মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ স্বজনরা ক্লিনিক ঘেরাও করে চিকিৎসকদের বিচার দাবি করেন। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ডা. ইয়াসমিন এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল গফুর বলেন, একতা ক্লিনিকে অপারেশনের পর আশা রানী রায় (১৯) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর হয়েছে। এ বিষয়ে আমি শুনেছি তবে অভিযোগ না থাকায় কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন আসিফ ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজ সুলতানাকে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।