অনলাইন সংস্করণ
১৮:৩৭, ২৫ জুন, ২০২৫
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও তিনটি ওষুধের ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই অভিযান পরিচালনা করেন।
পৃথক দুটি অভিযানে নেতৃত্বদানকারী দুজন চৌকস নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হলেন- মো. বদরুজ্জামান রিশাদ এবং মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ডায়গনস্টিক সেন্টারে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় রোগীদের ভোগান্তি, সঠিক কাগজপত্র না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্টের ব্যবহার, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ইত্যাদির অপরাধে দুটি ডায়গনস্টিক সেন্টারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারা মোতাবেক মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. বদরুজ্জামান রিশাদ।
সূত্রটি আরো জানায়, একই দিনে কুড়িগ্রামের ধরলা সেতুর পূর্বপ্রান্তে ডিসি পার্ক এলাকার ৩টি ওষুধের ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। নিষিদ্ধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ফিজিশিয়ান'স স্যাম্পল এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত ওষুধ বিক্রি করায় ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩ এর বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী ৩টি ফার্মেসিকে মোট ২২ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বক্কর সিদ্দিক এই ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে ছিলেন কুড়িগ্রাম ঔষধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাফিজুর রহমান মিয়া।