মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা থেকে কোটি টাকার জাল টাকা, ৫টি নকল বিদেশি পিস্তল এবং নকল গুলিসহ মোক্তাদির আলী রিপন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
গ্রেপ্তারকৃত মোক্তাদির উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সম্মান গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।
র্যাবের সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুলাউড়ার পৃথিমপাশা সম্মান এলাকার জাল নোটের কারবারি মোক্তাদির আলী রিপনের বাসায় বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি জাল নোট এবং আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ রয়েছে বলে জানতে পারে র্যাব। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-২, মৌলভীবাজার এবং সদর কোম্পানি, সিলেট এর যৌথ আভিযানিক দল ১৩ অক্টোবর গভীর রাতে মোক্তাদিরের বাসায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে তার বসত ঘরের ওয়্যারড্রব থেকে আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা মূল্য মানের দেশী এবং প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের বিদেশি নোটসহ মোট প্রায় ১ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি জাল নোট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে আসল সদৃশ ৫টি নকল বিদেশি পিস্তল এবং নকল ৮ রাউন্ড গুলিসহ মোক্তাদির আলী রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মোক্তাদির জানায়, বিগত তিন মাস ধরে বিভিন্ন সরবরাহকারী থেকে অনলাইনের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত নকল পিস্তল ও জাল টাকা ক্রয় করে অনলাইনে আগ্রহী জনসাধারণের কাছে বিক্রয় করে আসছে। প্রাথমিকভাবে সে ভিডিও কলের মাধ্যমে নকল টাকা ও অস্ত্র দেখিয়ে আসল বলে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতো। পরবর্তীতে কিছু ক্ষেত্রে কুরিয়ারের মাধ্যমে নকল অস্ত্র ও জাল টাকা সরবরাহ করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নকল কুরিয়ার ডেলিভারি স্লিপ অনলাইনে প্রদর্শন করে অগ্রিম টাকা নিয়ে ফোন বন্ধ করে দিতো। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে সে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতো বলে স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্য মতে নকল অস্ত্র সরবরাহকারী ও জাল টাকা প্রস্তুতকারীকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কে এম শহীদুল ইসলাম সোহাগ গণমাধ্যমকে জানান, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোক্তাদিরের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং জব্দকৃত আলামত থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, র্যাবের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোক্তাদিরকে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
