
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদী সংলগ্ন বিভিন্ন চর ও এলাকায় বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
শনিবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন, লৌহজং উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাওয়া আর্মি ক্যাম্প, লৌহজং থানা পুলিশ, মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি, মৎস্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নিষিদ্ধ সময়ের মধ্যে নদীতে মাছ ক্রয় ও বিক্রয় করার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া অভিযানের সময় প্রায় ৮ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩০–৩৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। আটককৃতদের মোবাইল কোর্টে বিভিন্ন পরিমাণে অর্থদণ্ড প্রদান ও আদায় করা হয়।
জব্দকৃত ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং স্থানীয় জনসাধারণকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়।
বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের নেতৃত্বে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নেছার উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন চার্লস জিকো বম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ পারভেজ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লৌহজং থানা, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যবৃন্দ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ সংরক্ষণে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।