
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির বাজারে পৃথিবী আজ অনেক চাহিদাসম্পন্ন। নেটওয়ার্কিং, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সসহ প্রযুক্তিভিত্তিক সবকিছুর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ এই অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের উদ্যোগে ‘টেলিভার্স ১.০’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তির এই যুগে ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগ হল আধুনিক জীবনের রপ্ত ধারা। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই খাতে যারা যুক্ত হচ্ছে তারা প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দেবে।
তিনি আরও বলেন, চুয়েটের ইটিই বিভাগের এই ধরনের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনী দক্ষতাকে সমৃদ্ধ করে ভবিষ্যতে টেকনোলজি লিডার হিসেবে তৈরি করতে সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)-এর সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শেখ শরিফুল আলম, চুয়েটে কেন্দ্রীয় গবেষণা পরীক্ষাগার (ইউসিআরএল) এর পরিচালক ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. জাহেদুল ইসলাম।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ইটিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজাদ হোসেন এবং অনুষ্ঠানের কনভেনার ও ইটিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইটিই ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিশু মিত্র জেকি, ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাবিলা সুলতানা, নিশাত সায়েরা, মো. হাসিবুল ইসলাম জিহাদ ও ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিনহাজুর রহমান হাসিব।
উল্লেখ্য, ইটিই বিভাগের অনুষ্ঠানটি গত ২০ নভেম্বর শুরু হয়। অনুষ্ঠানে চারটি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের মোট ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০০ এর অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এরপর ‘টেলিটেলস’ ম্যাগাজিন-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।