
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গুল্টা হাট সড়কের চরম বেহালাবস্থা দেখা দিয়েছে। এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় গুল্টা হাট–আগপাড়া মাদ্রাসা মোড় সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে এবং দুই পাশ ভেঙে পড়েছে। এতে ছোটখাট যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
কৃষকেরা এ ঐতিহ্যবাহী হাটে ধানসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয়–বিক্রয় করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পাশাপাশি স্থানীয় স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই কষ্ট করে চলাচল করছেন।
বিশেষ করে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হয়। যে সড়কে সাধারণত এক ঘণ্টায় যাতায়াত করা যায়, এখন সেখানে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এমনকি সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে ছোটখাট যানবাহন উল্টে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে, যাতে বহু শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের দাবিতে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাড়াশ উপজেলা শস্য ও মৎস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত হওয়ায় কৃষকেরা নিয়মিতভাবে এ হাটে পণ্য ক্রয়–বিক্রয়ে যান, কিন্তু সড়কের দুরবস্থার কারণে তারা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এজন্য দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গুল্টা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল অলিম বলেন, “গুল্টা হাট প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী হাট। প্রতিবছর এ হাট থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়, অথচ হাটে প্রবেশের প্রধান সড়কটির উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে জনদুর্ভোগ বাড়ছেই।”
হাটের ইজারাদার ইউনুস আলী বাবু বলেন, “প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার এ হাট বসে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। বিশেষ করে হাটের দিনে দুর্ভোগ চরমে ওঠে। শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর কষ্টের শেষ নেই।”
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) রেজাউর রহমান *আলোকিত বাংলাদেশ*কে জানান, “জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। সরকারি বিধিমতে খুব শিগগিরই সড়ক সংস্কার করা হবে।”