হবিগঞ্জে পৃথক অভিযানে কাঠের গুড়াভর্তি বস্তা ও বালুর নিচে লুকানো বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, কসমেটিকস, জিরা, পেঁয়াজ ও মদসহ দুটি গাড়ি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)-এর একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত থেকে আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকায় কৌশলগতভাবে অবস্থান নেয়। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান টহল দলের নিকট এলে সংকেত দিয়ে থামানো হয়। তল্লাশিতে ভ্যানটিতে কাঠের গুড়াভর্তি বস্তা পাওয়া গেলে সন্দেহ হয়। পরে বস্তাগুলো নামিয়ে গাড়ির বডির ভেতরে অভিনব কায়দায় তৈরি গোপন কুঠুরি থেকে লুকানো অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি ও শাল জব্দ করা হয়।
একইভাবে অপর একটি বালুবাহী ট্রাক তল্লাশি করে বালুর নিচে লুকানো অবস্থায় ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস ও জিরা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সিন্দুরখান ও বাল্লা বিওপির টহল দল সীমান্তবর্তী চোরাচালানপ্রবণ এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ ও ২৩ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করে।
বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বলেন, বিজিবি দেশের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি নিরলসভাবে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানগুলো আমাদের দায়িত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চোরাচালান নির্মূলে আমাদের কঠোর পদক্ষেপগুলো শুধু অপরাধীদেরই রুখে দিচ্ছে না, বরং দেশের অর্থনীতিকেও সুরক্ষিত করছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি অভিযানই দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষায় এক অনন্য ভূমিকা পালন করে।
তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত পণ্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবিগঞ্জ কাস্টমস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত চক্রকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে।
